ছুটিতে বান্দরবানে পর্যটকদের ভিড়
টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে পড়েছে বাংলাদেশ। আর এই সুযোগে ঘুরতে বেরিয়েছেন অনেকে। এরই মধ্যে বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলো মানুষের পদচারণয় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) ভোর থেকে ও বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বান্দরবানের প্রায় সব পর্যটন স্পটে দেখা গেছে ভিড়। এর মধ্যে রয়েছে বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, তমাতুংগী ও নীলগিরি।
পর্যটকের ভিড়ের কারণে বান্দরবানেও দেখা গেছে পরিবহনের সারি। বিশেষ করে নীলাচল প্রবেশদ্বার হতে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পর্যটকবাহী গাড়ির দেখা মেলে। ফলে এক কিলোমিটার পায়ে হেঁটে নীলাচলে যেতে হয় অনেককে। এতে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
সাতক্ষীরা থেকে সপরিবারে বান্দরবানে যাওয়া ইমানুর রহমান বলেন, দেশের অনেক স্থানে ভ্রমণ করেছি, তবে বান্দরবানের মতো এত সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর দৃশ্য কোথাও দেখিনি।
আরেক পর্যটক বিলকিস রেহানা বলেন, বান্দরবানের অনেক পর্যটন স্পট ভ্রমণ করেছি। তবে নীলগিরি মুগ্ধকর। তবে পর্যটন স্পটগুলোতে যাওয়ার রাস্তা সরু, বিপদজনক ও প্রায় সবকটি সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয়গুলো নজরে আনার অনুরোধ জানান তিনি।
হোটেলের খাবার মান অনুযায়ী দামও অনেক বেশি বলে জানান সাইফুল ইসলামসহ অনেক পর্যটক।
নীলাচল পর্যটন স্পটের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সুমি ত্রিপুরা জানান, বৃহস্পতিবার নীলাচলে প্রায় তিন হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে।
মেঘলা পর্যটন স্পটের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা সুকুমার তঞ্চগ্যা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার পর্যটক প্রবেশ করেছে মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে।
বান্দরবান জিপ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির সদস্য মো. কামাল হোসেন বলেন, একদিনে প্রতি গাড়িতে ১৩ জন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন তিনশ’ ৫০টি টুরিস্টবাহী জিপ বিভিন্ন স্পটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
বান্দরবান মেঘলা ও নীলাচল পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কায়েসুর রহমান বলেন, নীলাচল সড়কের দুপাশ সংকীর্ণ হওয়ায় রাস্তাটি প্রস্থ করতে সমস্যা হচ্ছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। অন্য পথ অবলম্বন করা যায় কি না সেই বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে।
এছাড়া হোটেলের খাবার মান অনুযায়ী অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় ভোক্তা অধিকার দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কায়েসুর রহমান।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)