ব্যক্তি মালিকানাধীন ঘের দখল কেন্দ্র করে ঘেরের প্রকৃত মালিকসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুবৃত্তরা চার বছরের শিশু সাফিন, পরিবারের নারী সদস্যদেরও নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের মধ্যে হলেন-ঘের মালিক ও সাবেক সেনা সদস্য হায়দার আলীর অবস্থা বর্তমানে বেশী সংকটাপন্ন। তাকে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় উন্নত চিকিৎসার জন্য। তার স্ত্রী শিরিন হায়দার, ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল, তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ও তাদের চার বছরের ছেলে সাফিন। সাফিনের অবস্থাও সংকটাপন্ন।
শুক্রবার বিকেলে দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত হায়দার আলীর ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল বলেন, বিকেলে আমার বড় ভাই হায়দার আলী, ভাবি শিরিন হায়দার, আমি, আমার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ও চার বছরের ছেলে সাফিন ঘের এলাকায় গেলে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও ঘেরের জবরদখলকারী আলিপুরের আকবার আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, মাসুদ, বাবু, আলিপুরের মৃত হবি সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটির শহীদ, আলিপুর চেকপোস্টের রবসহ আরও কয়েকজন রাম দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুর্বৃত্তরা হায়দার আলীকে রাম দা, রড, লাঠি দিয়ে কুপিয়ে, পিটিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। এতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। ভেঙেছে একটি হাত, আরেকটি হাতে রাম দার কোপে গুরুতর জখম হয়েছে।
এছাড়া পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় সোনিয়া খাতুনের। চার বছরের শিশু সাফিনকে মেরে ছুড়ে পাশের খালে ফেলে দেয়। শিরিন হায়দার ও গোলাম মোস্তফা টুটুলকেও নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে।
আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হায়দার আলী ও শিরিন হায়দারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দুবৃত্তরা ওই ঘের দীর্ঘদিন জবরদখল করে খাচ্ছিল। পরে মামলা করলে রায় আমাদের পক্ষে আসে। তারপর প্রতিপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে তার রায়ও আমাদের পক্ষে আসে। কিন্তু দখলকারীরা কোনোভাবেই জমি ছাড়তে চাচ্ছিল না।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব সাহা জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। রাতেই গোলাম মোস্তফা টুটুল টুটুল বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো কয়েকজনের নামে হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। তবে এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]