আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে কপাল পুড়লো নৌকার প্রার্থীদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা। বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারী নেতা বা আওয়ামী ঘরণার নেতা। মূলত তারা হারিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান প্রতিমন্ত্রী, একাধিকবারে সংসদ সদস্যসহ অনেক তারকা প্রার্থীকে। জাতীয় পার্টির মতো দল ১১টি আসনে জয় পেলেও স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা পেয়েছেন ৬২টির বেশি আসন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টি একটি, জাসদ একটি ও কল্যাণপার্টি পেয়েছে একটি করে আসন। আওয়ামী লীগ ২২২ আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। তবে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন ও জাসদের তানসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন। সেই হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে জয়ের বাজিমাত হয়েছে।
নয়া রেকর্ড হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। টানা চতুর্থবারের মতো নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সামনে নতুন এক রেকর্ড গড়ার হাতছানি। পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি আটবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এবারের নির্বাচনটিতে নানা বিষয়ে রেকর্ড হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়নি। আওয়ামী লীগসহ অংশ নেয়া দলগুলোর মধ্যে তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস ছিল না আগে থেকেই। ভোটে নামার পরই আসন ভাগাভাগি হয় শরিক ও মিত্র দলগুলোর মধ্যে। এতে শুরুতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার চরিত্র হারায় নির্বাচন।
ভোটার বাড়ানো ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার কৌশল হিসেবে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার নজিরবিহীন সুযোগ করে দেয়। এতে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়েছেন। তাদের সামনে জোট করে বিরোধী দল গঠন করার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। বর্তমান সংসদের বিরোধী জাতীয় পার্টি তার অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে দলটির প্রার্থীরা ১১টি আসনে জয়ী হয়েছেন। আগের নির্বাচন তারা ২৩টি আসন পেয়েছিল। দলটি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসতে পারবে কিনা এ নিয়ে এবার সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাত আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৯৮টি আসনের ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে পাওয়া যায়। যদিও এই সময়ে নির্বাচন কমিশন থেকে আরো কম সংখ্যক আসনের ফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
প্রাপ্ত ফলে দেখা যায় ২২৩টি আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা জয়ী হন। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন ৬২টি আসনে। এর বাইরে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইবরাহিম হাতঘড়ি প্রতীকে জয়ী হয়েছেন। এছাড়া জাসদের ১ জন প্রার্থী জয়ী হন। জাসদের প্রার্থীও নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন।
নির্বাচন শুরুর পর থেকে ভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নানা অজুহাতে। সর্বশেষ ভোটের দিন জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্রসহ বেশকিছু প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে।
রোববার বিক্ষিপ্ত ঘটনার মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মুখে হওয়া নির্বাচনে দিনভর ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সকালে অনেকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যাও কিছুটা বাড়ে। প্রথম চার ঘণ্টার ভোটের পর নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ১৮.৫ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য জানানো হয়। ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সংবাদ সম্মেলনে ভোটের হারের দুটি সংখ্যা উল্লেখ করেন। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন ২৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। পরে অবশ্য পাশে থাকা ইসি কর্মকর্তারা শুধরে দেয়ার পর তিনি জানান ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বা নাও পারে।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর বিজয় মিছিল না করতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের কোনো ধরনের সংঘাতে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে এসে কিংস পার্টির খ্যাতি পাওয়া দলগুলোর বড় নেতাদের কেউ জয়ী হতে পারেননি। তবে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কক্সবাজার-১ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন। বিরোধী জোটে থাকা এই নেতা ভোটের আগে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আলোচিত হন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি জাফর আলম ভোটের দিন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন অনিয়মের অভিযোগ তুলে। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন।
ভোট শেষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে জনগণ তাদের ভোট বর্জনের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে।
বিরোধীদের বর্জন করা ভোটে এবার চমক দেখিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ে এবার বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এবারের সংসদে বিরোধী দলের আসনটি নিয়ে তাই এখন সবার চোখ। কারা বসছে এই আসনে। জাতীয় পার্টি নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জোট।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টি জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে।
মুন্সীগঞ্জ আসনে ভোট চলাকালে নৌকার সমর্থক মো. জিল্লুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া আরও বেশকিছু স্থানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে।
ভোটের দিন সকাল থেকেই আলোচনায় ছিল ভোটের হার। সকালে অনেক কেন্দ্রে ভোটার দেখা যায়নি তেমন একটা। এতে কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ভোটার কিছুটা বাড়ে।
যারা বিজয়ী
পঞ্চগড়-১ মো. নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া (নৌকা), পঞ্চগড়-২ মো. নূরুল ইসলাম সুজন (নৌকা) ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন (নৌকা), ঠাকুরগাঁও-২ মো. মাজহারুল ইসলাম (নৌকা), ঠাকুরগাঁও-৩ হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ (লাঙ্গল), দিনাজপুর-১ মো. জাকারিয়া (স্বতন্ত্র), দিনাজপুর-২ খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌকা), দিনাজপুর-৩ ইকবালুর রহিম (নৌকা), দিনাজপুর-৪ আবুল হাসান মাহমুদ আলী (নৌকা),দিনাজপুর-৫ মোস্তাফিজুর রহমান (নৌকা), দিনাজপুর-৬ মো. শিবলী সাদিক (নৌকা), নীলফামারী-১ মো. আফতাব উদ্দিন সরকার (নৌকা), নীলফামারী-২ আসাদুজ্জামান নূর (নৌকা), নীলফামারী-৩ মো. সাদ্দাম হোসেন (পাভেল) (স্বতন্ত্র), নীলফামারী-৪ মো. সিদ্দিকুল আলম (স্বতন্ত্র), লালমনিরহাট-১ মো. মোতাহার হোসেন(নৌকা), লালমনিরহাট-২ নুরুজ্জামান আহমেদ (নৌকা), লালমনিরহাট-৩ মো. মতিয়ার রহমান (নৌকা), রংপুর-১ মো. আসাদুজ্জামান (স্বতন্ত্র), রংপুর-২ আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী (নৌকা), রংপুর-৩ গোলাম মোহাম্মদ কাদের (লাঙ্গল), রংপুর-৪ টিপু মুনশি (নৌকা), রংপুর-৫ মো. জাকির হোসেন সরকার (স্বতন্ত্র) রংপুর-৬ শিরীন শারমিন চৌধুরী (নৌকা), কুড়িগ্রাম-১ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (লাঙ্গল),কুড়িগ্রাম-২ মো. হামিদুল হক খন্দকার (স্বতন্ত্র), কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (নৌকা), কুড়িগ্রাম-৪ মো. বিপ্লব হাসান (নৌকা), গাইবান্ধা-১ আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার (স্বতন্ত্র), গাইবান্ধা-২ শাহ সারোয়ার কবীর (স্বতন্ত্র), গাইবান্ধা-৩ উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা),গাইবান্ধা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), গাইবান্ধা-৫ মাহমুদ হাসান (নৌকা), জয়পুরহাট-১ সামছুল আলম দুদু (নৌকা), জয়পুরহাট-২ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন (নৌকা), বগুড়া-১ সাহাদারা মান্নান (নৌকা), বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ (লাঙ্গল), বগুড়া-৩ খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ আল মেহেদী (স্বতন্ত্র), বগুড়া-৪ এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বগুড়া-৫ মো. মজিবর রহমান (মজনু), (নৌকা), বগুড়া-৬ রাগেবুল আহসান রিপু (নৌকা),বগুড়া-৭ মো. মোস্তফা আলম (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মু. জিয়াউর রহমান (নৌকা), চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ মো. আব্দুল ওদুদ (নৌকা), নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার (নৌকা), নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী (নৌকা), নওগাঁ-৪ এস এম ব্রহানী সুলতান মামুদ (স্বতন্ত্র), নওগাঁ-৫ নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) (নৌকা), নওগাঁ-৬ মো. ওমর ফারুক সুমন (স্বতন্ত্র), রাজশাহী-১ ওমর ফারুক চৌধুরী (নৌকা), রাজশাহী-২ মো. শফিকুর রহমান বাদশা (স্বতন্ত্র), রাজশাহী-৩ মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ (নৌকা), রাজশাহী-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), রাজশাহী-৫ মো. আব্দুল ওয়াদুদ (নৌকা), রাজশাহী-৬ মো. শাহ্রিয়ার আলম (নৌকা), নাটোর-১ মো. আবুল কালাম (স্বতন্ত্র), নাটোর-২ শফিকুল ইসলাম শিমুল (নৌকা), নাটোর-৩ জুনাইদ আহ্মেদ পলক (নৌকা), নাটোর-৪ মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-১ তানভীর শাকিল জয় (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-২ মোছা. জান্নাত আরা হেনরী (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৩ মো. আব্দুল আজিজ (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৪ মো. শফিকুল ইসলাম (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৫ আব্দুল মমিন মন্ডল (নৌকা), সিরাজগঞ্জ-৬ চয়ন ইসলাম (নৌকা),পাবনা-১ মো. শামসুল হক টুকু (নৌকা), পাবনা-২আহমেদ ফিরোজ কবির (নৌকা), পাবনা-৩ মো. মকবুল হোসেন (নৌকা), পাবনা-৪ গালিবুর রহমান শরীফ (নৌকা), পাবনা-৫ গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (নৌকা), মেহেরপুর-১ ফরহাদ হোসেন (নৌকা), মেহেরপুর-২ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক (নৌকা), কুষ্টিয়া-১ মো. রেজাউল হক চোধুরী (স্বতন্ত্র), কুষ্টিয়া-৩ মো. মাহবুব উল আলম হানিফ (নৌকা), কুষ্টিয়া-৪ আবদুর রউফ (স্বতন্ত্র), চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) (নৌকা), চুয়াডাঙ্গা-২ মো. আলী আজগার (নৌকা), ঝিনাইদহ-১ মো. আব্দুল হাই (নৌকা), ঝিনাইদহ-২ মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, স্বতন্ত্র, ঝিনাইদহ-৩ মো. সালাহ উদ্দিন মিয়াজী (নৌকা), ঝিনাইদহ-৪ মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) (নৌকা), যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন (নৌকা), যশোর-২ মো. তৌহিদুজজামান (নৌকা), যশোর-৩ কাজী নাবিল আহমেদ (নৌকা), যশোর-৪ এনামুল হক বাবুল (নৌকা), যশোর-৫ মো. ইয়াকুব আলী (স্বতন্ত্র), যশোর-৬ মো. আজিজুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), মাগুরা-১ সাকিব আল হাসান (নৌকা), মাগুরা-২ ড. শ্রী বীরেন শিকদার (নৌকা), নড়াইল-১ বি এম কবিরুল হক (নৌকা), নড়াইল-২ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা (নৌকা), বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন (নৌকা), বাগেরহাট-২ শেখ তন্ময় (নৌকা), বাগেরহাট-৩ হাবিবুন নাহার (নৌকা), বাগেরহাট-৪ এইচ এম বদিউজ্জামান (নৌকা), খুলনা-১ ননী গোপাল মন্ডল (নৌকা), খুলনা-২ সেখ সালাহউদ্দিন (নৌকা), খুলনা-৩ এস এম কামাল হোসেন (নৌকা), খুলনা-৪ আব্দুস সালাম মূর্শেদী (নৌকা), খুলনা-৫ নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (নৌকা), খুলনা-৬ মো. রশীদুজ্জামান (নৌকা), সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন (নৌকা), সাতক্ষীরা-২ মো. আশরাফুজ্জামান (লাঙ্গল), সাতক্ষীরা-৩ আ ফ ম রুহুল হক (নৌকা), সাতক্ষীরা-৪ আতাউল হক (নৌকা), বরগুনা-১ গোলাম সরোয়ার টুকু (স্বতন্ত্র), বরগুনা-২ সুলতানা নাদিরা (নৌকা), পটুয়াখালী-১ এ. বি. এম রুহুল আমিন হাওলাদার (লাঙ্গল), পটুয়াখালী-২ আ স ম ফিরোজ (নৌকা), পটুয়াখালী-৩ এস. এম. শাহজাদা (নৌকা), পটুয়াখালী-৪ মো. মহিববুর রহমান (নৌকা), ভোলা-১ তোফায়েল আহমেদ (নৌকা), ভোলা-২ আলী আজম (নৌকা), ভোলা-৩ নুরুন্নবী চৌধুরী (নৌকা), ভোলা-৪ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (নৌকা), বরিশাল-১ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ (নৌকা), বরিশাল-২ রাশেদ খান মেনন (ওয়ার্কার্স পার্টি) (নৌকা), বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, (লাঙ্গল) বরিশাল-৪ পংকজ নাথ, (স্বতন্ত্র), বরিশাল-৫ জাহিদ ফারুক শামীম (নৌকা), ঝালকাঠি-১ মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর (নৌকা), ঝালকাঠি-২ আমির হোসেন আমু(নৌকা), পিরোজপুর-১ শ ম রেজাউল করিম (নৌকা), পিরোজপুর-২ মো. মহিউদ্দীন মহারাজ (স্বতন্ত্র), পিরোজপুর-৩ মো. শামীম শাহনেওয়াজ (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-১ আবদুর রাজ্জাক (নৌকা), টাঙ্গাইল-২ তানভীর হাসান (ছোট মনির) (নৌকা), টাঙ্গাইল-৩ আমানুর রহমান খান রানা (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-৪ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-৫ ছানোয়ার হোসেন (স্বতন্ত্র), টাঙ্গাইল-৬ আহসানুল ইসলাম (টিটু) (নৌকা), টাঙ্গাইল-৭ খান আহমেদ শুভ (নৌকা), টাঙ্গাইল-৮ অনুপম শাহজাহান জয় (নৌকা), জামালপুর-১ নূর মোহাম্মদ (নৌকা), জামালপুর-২ ফরিদুল হক খান (নৌকা), জামালপুর-৩ মির্জা আজম (নৌকা), জামালপুর-৪আবদুর রশীদ, (স্বতন্ত্র) জামালপুর-৫ আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), শেরপুর-১ মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু (স্বতন্ত্র), শেরপুর-২ মতিয়া চৌধুরী (নৌকা), শেরপুর-৩ এ ডি এম শহিদুল ইসলাম (নৌকা), ময়মনসিংহ-১ মাহমুদুল হক সায়েম (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-২ শরীফ আহমেদ (নৌকা), ময়মনসিংহ-৪ মোহাম্মদ মাহিত উর রহমান(নৌকা), ময়মনসিংহ-৫ মো. নজরুল ইসলাম (স্বতন্ত্র), ময়মনসিংহ-৬ মো. আব্দুল মালেক সরকার (ট্রাক), ময়মনসিংহ-৭ এ বি এম আনিছুজ্জামান (ট্রাক) , ময়মনসিংহ-৮ মাহমুদ হাসান সুমন (ঈগল), ময়মনসিংহ-৯ আব্দুস সালাম (নৌকা), ময়মনসিংহ-১০ ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেল (নৌকা), ময়মনসিংহ-১১ মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ (ট্রাক), নেত্রকোণা-১ মোশতাক আহমেদ রুহী (নৌকা), নেত্রকোণা-২ মো. আশরাফ আলী খান খসরু (নৌকা), নেত্রকোণা-৩ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু (ট্রাক), নেত্রকোণা-৪ সাজ্জাদুল হাসান (নৌকা), নেত্রকোণা-৫ আহমদ হোসেন (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-১ সৈয়দা জাকিয়া নূর (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-২ সোহ্রাব উদ্দিন (ঈগল), কিশোরগঞ্জ-৩ মুজিবুল হক (লাঙ্গল), কিশোরগঞ্জ-৪ রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৫ আফজাল হোসেন (নৌকা), কিশোরগঞ্জ-৬ নাজমুল হাসান (নৌকা) , মানিকগঞ্জ-১ সালাউদ্দিন মাহমুদ (ঈগল), মানিকগঞ্জ-২ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ (ট্রাক), মানিকগঞ্জ-৩ জাহিদ মালেক (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-১ মহিউদ্দিন আহমেদ (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-২ সাগুফতা ইয়াসমিন (নৌকা), মুন্সীগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ ফয়সাল (কাঁচি), ঢাকা-১ সালমান ফজলুর রহমান (নৌকা), ঢাকা-২ মো. কামরুল ইসলাম (নৌকা), ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ (নৌকা), ঢাকা-৪ মো. আওলাদ হোসেন (ট্রাক), ঢাকা-৫ মশিউর রহমান মোল্লা সজল (ট্রাক), ঢাকা-৬ মোহাম্মদ সাইদ খোকন (নৌকা), ঢাকা-৭ মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম (নৌকা), ঢাকা-৮ আ ফ ম বাহাউদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী (নৌকা), ঢাকা-১০ ফেরদৌস আহমেদ (নৌকা), ঢাকা-১১ মোহাম্মদ ওয়াকিল উদ্দিন (নৌকা), ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান (নৌকা), ঢাকা-১৩ জাহাঙ্গীর কবির নানক (নৌকা), ঢাকা-১৪ মো. মাইনুল হোসেন খান (নৌকা), ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার (নৌকা), ঢাকা-১৬ মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ(নৌকা), ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), ঢাকা-১৮ মো. খসরু চৌধুরী (কেটলি), ঢাকা-১৯ মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (ট্রাক), ঢাকা-২০ বেনজীর আহমদ (নৌকা), গাজীপুর-১ আ ক ম মোজাম্মেল হক (নৌকা), গাজীপুর-২ জাহিদ আহসান রাসেল (নৌকা), গাজীপুর-৩ রুমানা আলী (নৌকা), গাজীপুর-৪ সিমিন হোসেন রিমি (নৌকা), গাজীপুর-৫ আখতারউজ্জামান (ট্রাক), নরসিংদী-১ নজরুল ইসলাম (নৌকা), নরসিংদী-২ আনোয়ারুল আশরাফ খান (নৌকা), নরসিংদী-৩ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা (ট্রাক), নরসিংদী-৪ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন (নৌকা), নরসিংদী-৫ রাজি উদ্দিন আহমেদ (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ-১ গোলাম দস্তগীর গাজী (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ-২ নজরুল ইসলাম বাবু (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ-৩ আবদুল্লাহ-আল-কায়সার (নৌকা), নারায়ণগঞ্জ-৪ শামীম ওসমান (নৌকা) , নারায়ণগঞ্জ-৫ এ কে এম সেলিম ওসমান (লাঙ্গল), রাজবাড়ী-১ কাজী কেরামত আলী (নৌকা), রাজবাড়ী-২ জিল্লুল হাকিম (নৌকা), ফরিদপুর-১ আব্দুর রহমান (নৌকা), ফরিদপুর-২ শাহদাব আকবর (নৌকা), ফরিদপুর-৩ আব্দুল কাদের আজাদ (ঈগল), ফরিদপুর-৪ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিঙন (ঈগল), গোপালগঞ্জ-১ মুহাম্মদ ফারুক খান (নৌকা), গোপালগঞ্জ-২ শেখ ফজলুল করিম সেলিম (নৌকা), গোপালগঞ্জ-৩ শেখ হাসিনা (নৌকা), মাদারীপুর-১ নূর-ই-আলম চৌধুরী (নৌকা), মাদারীপুর-২ শাজাহান খান (নৌকা), মাদারীপুর-৩ মোসা. তাহমিনা বেগম (ঈগল), শরীয়তপুর-১ মো. ইকবাল হোসেন (নৌকা), শরীয়তপুর-২ এ কে এম এনামুল হক শামীম (নৌকা), শরীয়তপুর-৩ নাহিম রাজ্জাক (নৌকা), সিলেট-১ এ কে আবদুল মোমেন (নৌকা), সিলেট-২ শফিকুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), সিলেট-৩ হাবিবুর রহমান (নৌকা), সিলেট-৪ ইমরান আহমদ (নৌকা), সিলেট-৫ মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী (নৌকা), সিলেট-৬ নুরুল ইসলাম নাহিদ (নৌকা), মৌলভীবাজার-১ শাহাব উদ্দিন (নৌকা), মৌলভীবাজার-২ শফিউল আলম চৌধুরী (নৌকা), মৌলভীবাজার-৩ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (নৌকা), মৌলভীবাজার-৪ আব্দুস শহীদ (নৌকা), হবিগঞ্জ-১ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (ঈগল), হবিগঞ্জ-২ ময়েজ উদ্দিন শরীফ (নৌকা), হবিগঞ্জ-৩ মো. আবু জাহির (নৌকা), হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ সায়েদুল হক (ঈগল), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এস এ কে একরামুজ্জামান (কলার ছড়ি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. মঈন উদ্দিন (কলার ছড়ি), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আনিসুল হক (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ ফয়জুর রহমান (নৌকা), ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম (নৌকা), কুমিল্লা-১ মো. আবদুস সবুর (নৌকা), কুমিল্লা-২ মো. আবদুল মজিদ (ট্রাক), কুমিল্লা-৩ জাহাঙ্গীর আলম (ঈগল), কুমিল্লা-৪ মো. আবুল কালাম আজাদ (ঈগল), কুমিল্লা-৫ এম এ জাহের (কেটলি), কুমিল্লা-৬ আ. ক. ম. বাহাউদ্দীন (নৌকা), কুমিল্লা-৭ প্রান গোপাল দত্ত (নৌকা), কুমিল্লা-৮ আবু জাফর মোহাম্মদ শফি উদ্দিন (নৌকা), কুমিল্লা-৯ মো. তাজুল ইসলাম (নৌকা), কুমিল্লা-১০ আ হ ম মুস্তফা কামাল (নৌকা), কুমিল্লা-১১ মো. মুজিবুল হক (নৌকা), চাঁদপুর-১ সেলিম মাহমুদ (নৌকা), চাঁদপুর-২ মোফাজ্জল হোসাইন চৌধুরী (নৌকা), চাঁদপুর-৩ ডা. দীপু মনি (নৌকা), চাঁদপুর-৪ মুহম্মদ শফিকুর রহমান (নৌকা), চাঁদপুর-৫ রফিকুল ইসলাম (নৌকা), ফেনী-১ আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী (নৌকা), ফেনী-২ নিজাম উদ্দিন হাজারী (নৌকা), ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (লাঙ্গল), নোয়াখালী-১ এইচ এম ইব্রাহিম (নৌকা), নোয়াখালী-২ মোরশেদ আলম (নৌকা), নোয়াখালী-৩ মো. মামুনুর রশীদ কিরন (নৌকা), নোয়াখালী-৪ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী (নৌকা), নোয়াখালী-৫ ওবায়দুল কাদের (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-১ আনোয়ার হোসেন খান (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-২ নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন (নৌকা), লক্ষ্মীপুর-৪ মো. আবদুল্লাহ (ঈগল), চট্টগ্রাম-১ মাহবুব উর রহমান (নৌকা), চট্টগ্রাম-২ খাদিজাতুল আনোয়ার (নৌকা), চট্টগ্রাম-৩ মাহফুজুর রহমান (নৌকা), চট্টগ্রাম-৪ এস এম আল মামুন (নৌকা), চট্টগ্রাম-৫ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙ্গল), চট্টগ্রাম-৬ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-৭ মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ (নৌকা), চট্টগ্রাম-৮ আবদুচ ছালাম (কেটলি), চট্টগ্রাম-৯ মহিবুল হাসান চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-১০ মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), চট্টগ্রাম-১১ এম আবদুল লতিফ (নৌকা), চট্টগ্রাম-১২ মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৩ সাইফুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৪ মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), চট্টগ্রাম-১৫ আব্দুল মোতালেব (ঈগল), চট্টগ্রাম-১৬ মুজিবুর রহমান (ঈগল), কক্সবাজার-১ মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (হাতঘড়ি), কক্সবাজার-৩ সাইমুম সরওয়ার কমল (নৌকা), কক্সবাজার-৪ শাহীন আক্তার (নৌকা), পার্বত্য খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (নৌকা), পার্বত্য রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার (নৌকা), পার্বত্য বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং (নৌকা)।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]