বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নির্দেশে বিলম্ব মাশুল ছাড়া বিদ্যুতের বিল দেওয়ার সময় বাড়ানো হয়েছে। ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এই পাঁচ মাসের বিদ্যুতের বিল আগামী ৩১ জুলাইর মধ্যে দিলে কোনো বিলম্ব মাশুল দেওয়া লাগবে না। রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত এই চার মাসের বিদ্যুতের বকেয়া বিল জুন মাসের মধ্যে জমা দিলে বিলম্ব মাশুল না নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।
বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, আইনগত জটিলতা এড়াতে মন্ত্রণালয়কে থেকে বিইআরসিকে বলা হয় এ বিষয়ে একটি মতামত দিতে। তার প্রেক্ষিতে বিইআরসি মতামতের পাশাপাশি বিলম্ব মাশুল ছাড়া আরও এক মাস বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের নির্দেশ দেয়।
অনেক গ্রাহক প্রথম আলো অফিসে ফোন করে অভিযোগ করেছেন, জুন মাসের বিদ্যুতের যে বিল তারা জুলাই মাসে পেয়েছেন সেখানেও প্রকৃত বিলের চেয়ে অনেক বেশি বিল এসেছে। ভুতুড়ে বিল দেওয়া এখনো বন্ধ করেনি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) সহ দেশের ছয়টি বিতরণ সংস্থা।
বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাকালীন সাধারণ ছুটির সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত থাকায় বিদ্যুতের গ্রাহকগণ বিলম্ব-পরিশোধ মাশুল ব্যতিরেকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করলেও অনেক বিল বকেয়া রয়েছে। আবাসিক গ্রাহকগণের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল ৩১ জুলাই পরিশোধের ক্ষেত্রে বিলম্ব-পরিশোধ মাশুল ছাড়াই দেওয়া যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে যেসব গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো বিলম্ব মাশুল নিয়েছে তাদের পরবর্তী বিলের সঙ্গে এ অর্থ সমন্বয় করা হবে। এ ছাড়া মার্চ-এপ্রিল মাসে গড়-বিল করায় যদি কোনো গ্রাহকের স্ল্যাব বা ধাপ পরিবর্তন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন তা ঠিক করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি বিল নেওয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়।
সূত্র প্রথম আলো
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]