পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক বলেছেন, জরুরি ভিত্তিতে কোনো কাজ করার চেয়ে সরকার এখন গুরুত্ব দিচ্ছে স্থায়ীভাবে প্রকল্প প্রণয়নের ওপর। সেই লক্ষ্যে নদীভাঙন রোধে সারা দেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
উপমন্ত্রী ৭আগস্ট শুক্রবার বেলা ১১টায় মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এনামুল হক আরও বলেন, ‘খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় আট হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারা দেশে এভাবেই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। মাদারীপুরের শিবচরেও ৩৯৪ কোটি টাকার প্রকল্প এখন টেন্ডারের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিয়ে কাজটা আমরা করব।’
উপমন্ত্রী জানিয়েছেন, ঈদের দিন বিকেলে মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধের একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছিলে। খবর পেয়ে ওই দিন থেকেই পানিসম্পদ বিভাগের লোকজন ভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছেন। একই দিনে শরীয়তপুরের নড়িয়া, চাঁদপুর ও রাজবাড়ীতে ভাঙন রোধে কাজ শুরু হয়। মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ টেকসই ও মজবুত করতে ইতিমধ্যে কারিগরি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। তারা সবকিছু খতিয়ে দেখে কাজ বাস্তবায়ন করবে। আগামী বর্ষার আগেই শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হবে।
নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি দেন এনামুল হক। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান, জেলা প্রশাসক রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, পাউবোর মাদারীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান খান, পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন প্রমুখ।
সুত্র প্রথম আলো
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]