স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল তাকে অব্যাহতি দিয়ে সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
তবে মোয়াজ্জেম জানিয়েছেন, তাকে অপসারণ করা হয়নি। স্থায়ী চাকরির চেষ্টা করছেন তিনি। এজন্য পদত্যাগ করেছেন। গণমাধ্যমে তার পদত্যাগকে অপসারণ হিসেবে ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে ওই তারিখ থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে এপিএস পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ১৪ আগস্ট উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস নিয়োগ পেয়েছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন। তবে কী কারণে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পদত্যাগের কারণ তুলে ধরেন মোয়াজ্জেম হোসেন। পদত্যাগপত্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অব্যাহতিপত্রের প্রজ্ঞাপনের ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘গত ১০ মার্চ ২০২৫ ব্যাংকের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলে আমি উত্তীর্ণ হই। এরপর বিসিএস লিখিত পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয় ৮ মে এবং ব্যাংকের ভাইভার তারিখ ২২ মে। তাই আমি গত মার্চের ২৫ তারিখে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের কাছে পদত্যাগপত্রটি জমা দিই। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ৮ এপ্রিল পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন এবং যেহেতু নিয়োগ প্রদান ও বাতিল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক হয়ে থাকে এজন্য গত ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন হয়েছে। এরপর গণমাধ্যমে পদত্যাগকে অপসারণ হিসেবে ভুলভাবে উত্থাপন করা হয়।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও দাবি করেন এপিএস মোয়াজ্জেমকে অপসারণ করা হয়নি। তার ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেন মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। পদত্যাগ পত্রটি গৃহীত হলে আদেশ কার্যকর করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অপসারণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তা সত্যি নয়। উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে যে কোনো অভিযোগ থাকলে তা অভিযোগ আহ্বানসংক্রান্ত ইমেইলে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রামের বাড়ি মাগুরার মোহাম্মদপুরের দক্ষিণপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. আজিজার মন্ডল ও মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম। তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যতদিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে সহকারী একান্ত সচিব পদে বহাল রাখার অভিপ্রায় পোষণ করবেন ততদিন এ নিয়োগ আদেশ কার্যকর থাকবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]