যমুনার বাহাদুরাবাঘাট পয়েন্টে পানি কমলেও জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে পানি বাড়ায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে চলা দ্বিতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
এখন পর্যন্ত জামালপুর জেলায় ৮ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে জামালপুর পৌর এলাকার কম্পুপুরে বন্যার পানিতে ডুবে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
জামালপুরের বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ২ সেন্টিমিটার কমলেও শুক্রবার বিকেলে বিপৎসীমার ১২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে একই সময়ে যমুনার পানি সরিষাবাড়ীর জগন্নাথগঞ্জঘাট পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাই, দশআনী, জিঞ্জিরামসহ শাখা নদীগুলোর পানি বাড়তে থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও চরম অবনতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, জেলার ৭ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫১টি ইউনিয়নই বন্যা কবলিত হয়েছে।
বন্যার পানি ঢুকেছে ৮টি পৌরসভার মধ্যে ৭টিতেই। সব মিলেয়ে জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৮ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। নতুন করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, খাদ্য গুদাম, বাস স্ট্যান্ডসহ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি।
অপরদিকে শুক্রবার বিকালে জামালপুর পৌরসভাধীন কম্পুপুর এলাকায় মালা আক্তার (১৪), সেতু (১২) ও কনিকা (১৩) নামে তিন কিশোরী বাড়ির পাশে বন্যার পানিতে গোসল করতে নামে। সাঁতার না জানায় ওই তিন কিশোরী বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মালা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মালা আক্তার কম্পুপুর এলাকার আব্দুল মজিদের কন্যা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি শুক্রবার সকাল থেকে মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরির্দশন করেছেন। এ সময় তিনি বন্যা দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]