জামিনে মুক্ত হলেন সাংবাদিক ইয়ারব হোসেন। সাতক্ষীরা
সদর থানায় দেওয়া মামলায় উপজেলার ঝাউডাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী টীকা কেন্দ্রের স্বাস্থ্যকর্মী মনিরুজ্জামান ইয়ারব হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। এই মামলায় তিনি উল্লেখ করেন যে ইয়ারব হোসেন সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন এবং তার সাথে তর্কে জড়িয়ে তাকে থাপ্পড় মেরেছেন। এই অভিযোগে গ্রেফতার হন ইয়ারব হোসেন।
বৃহস্পতিবার তার জামিন শুনানিকালে আইনজীবীরা বলেন, ইয়ারব হোসেন ২০১৩ সালে জামায়াতের সহিংস তান্ডবের সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। এর পর থেকে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসাধীন হৃদরোগী ইয়ারব হোসেনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসা সহায়তা বাবদ ২ লাখ টাকা দেন। আইনজীবিরা আরও বলেন, ইয়ারব হোসেন কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলার একজন গুরুত্বপূর্ন স্বাক্ষী। তিনি বাংলাদেশে প্রথম গাছের পাঠশালা গড়ে তুলেছেন। ইয়ারব হোসেন ঘটনার দিন টীকা কেন্দ্রে বিশৃংখল অবস্থা দেখে এর প্রতিবাদ করেন।
এসময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
তার পক্ষে এ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান, এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. তামিম হোসেন সোহাগ সহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করে তার জামিন প্রার্থনা করেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এসময় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী এবং সিনিয়র সাংবাদিক কল্যান ব্যানার্জী, ইব্রাহিম খলিল সহ অন্যান্য সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]