‘টাকা মাটি, মাটি টাকা’, অর্থাৎ অর্থই আসল সম্পদ নয় বোঝাতেই এমন কথা বলেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। এখন সেই রামকৃষ্ণের বাণী পড়ে সময় কাটাতে চাইছেন অর্থ উদ্ধার কাণ্ডে অনর্থে জড়িয়ে পড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন।
ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কারাবন্দী পার্থর জেলে খাওয়া-ঘুম-খাওয়া ছাড়া বিশেষ কাজ নেই। মাঝে মধ্যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) কর্মকর্তারা জেরা করতে এলে একঘেয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন কখনো দিচ্ছেন না। বাকি সময়টা ‘আধ্যাত্মচেতনা’ বাড়াতে চাইছেন পার্থ। তাই জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে আনিয়ে নিয়েছেন ‘শ্রীরাম কথিত শ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত’।
খবর অনুসারে, জেল জীবনে সাহিত্যে ডুব দিতে চাইছেন প্রথমে অর্থনীতি ও পরে বিজনেস ম্যানেজমেন্টের ছাত্র পার্থ। তার ইচ্ছা শুনেই জেলে পাঠানো হয়েছে ‘মহাশ্বেতা দেবী অমনিবাস’। ‘হাজার চুরাশির মা’ ‘স্তন্যদায়িনী’, ‘অরণ্যের অধিকার’।
ওই সূত্রের আরও দাবি, পার্থের ইচ্ছার কথা জানতে পেরে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে বই। তবে বই পেয়ে পার্থ এখনো পড়া শুরু করেছেন কিনা তা জানা যায়নি।
সূত্র জানিয়েছে, পার্থ আবেদন করে খাতা, কলম আনিয়েছেন। কিন্তু সেই খাতা-কলম ব্যবহার শুরু করেছেন কিনা তাও জানা যায়নি।
গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ইডির বিশেষ আদালত। তার পর থেকে আপাতত তার ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের এক নম্বর ব্লকের দু’নম্বর সেল। যেখানে ছোট একটা ফ্যান, কয়েকটা কম্বল তার সম্বল। অতিরিক্ত বলতে একটা খাট পেয়েছেন তিনি। তবে তার মধ্যেই জায়গা করে নেবে পছন্দের বই। খাতা, কলমও।
সূত্র: আনন্দবাজার
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]