পাকিস্তানের করাচিতে সেন্ট্রাল জেলের। সেখানে জেলে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে বছর পঁয়ত্রিশের সৈয়দ নাসিম শাহ নামে এক আসামি। তার এই অবিশ্বাস্য সাফল্যের জন্য পুরস্কারও দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় নাসিমকে।
জানা গেছে, অতি সম্প্রতি নাসিমের সঙ্গে দেখা করেন তার মা এবং নাসিমের স্ত্রী। ছেলে খুনের দায়ে অভিযুক্ত। এই কারণে দীর্ঘ পাঁচ বছর নাসিমের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয়নি তাঁর মা। অবশেষে ছেলের পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার খবর শুনে সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে পা রাখেন করাচির সেন্ট্রাল জেলে। পুলিশের বিশেষ অনুমতিতে কথা হয় মা-ছেলের। দীর্ঘদিন পর কারাগারে মাকে দেখতে পেয়ে আবেগে ফেটে পড়ে নাসিম।মাকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। দু’জনের চোখই ভিজে যায় কান্নায়। তারপর তার অপরাধের জন্য মায়ের পা ধরে ক্ষমাও চান নাসিম। এমনটাই জানিয়েছেন ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সৈয়দ সুমরো।
২০২১ সালে প্রাইভেটে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। আর সেই পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেন তিনি। তার এই সাফল্যে হতবাক জেল কর্তৃপক্ষও। নাসিমের সাফল্যেতাকে আর্থিক সহায়তা করতে এগিয়ে আসে পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস। ভবিষ্যতে আরও শিক্ষালাভের জন্য তাকে এক লক্ষ টাকার স্কলারশিপ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মতবিরোধের জেরে একজনকে গুলি করে হত্যা করে নাসিম। তারপর ২০১১ সালে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। দীর্ঘ ৭ বছর পর ২০১৮ সালে ২৫ বছরের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় সৈয়দ নাসিম শাহ। বিষয়টি ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সৈয়দ সুমরোর কথায়,আগামী ছয় বছরের মধ্যেই মুক্তি পেতে পারেন নাসিম। কারণ তার শিক্ষাগত কৃতিত্ব, আচরণ, পারস্পরিক সহযোগিতা ও রক্তদান এই সমস্ত কাজে সন্তুষ্ট জেল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : এনডিটিভি ও এই সময়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]