করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকার দ্বিতীয় ডোজ চার সপ্তাহ পর দেয়ার কথা জানানো হলেও সময়সীমা পরিবর্তন হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আট সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিজি এই কথা জানান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার সময়ে এই পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন, যাদের চার সপ্তাহ বা এক মাস পরে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার তারিখ দেওয়া হয়েছে তাদের পরবর্তী ডোজের নতুন তারিখ এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কমিটিসহ অনেকের সঙ্গেই এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলো থেকেও দ্বিতীয় ডোজের ব্যাপারে আট থেকে ১২ সপ্তাহের পরামর্শ আছে। সেক্ষেত্রে আমরা আট সপ্তাহকেই বেছে নিচ্ছি। কারণ এটা আমাদের টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম পরিকল্পনায় কার্যকর করতে সুবিধা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা বলেন, ‘সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে যে এসএমএস যায়, দ্বিতীয় ডোজের সময়েও কিন্তু এ রিমাইন্ডারটা যাবে। এতে করে সবাই জানতে পারবে যে, দ্বিতীয় ডোজ কবে পাবে। এছাড়াও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত আমাদের কিছু কার্যক্রম রয়েছে, এর মাধ্যমেই আমরা সবাইকে নিশ্চিত করবো যে চার সপ্তাহের জায়গায় আট সপ্তাহ পরে টিকা নেবেন।’
গত ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে টিকা দিয়ে দেশে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করার পর ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় সারাদেশে গণ টিকাদান।
বাংলাদেশে দেয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। প্রত্যেককে এই টিকার দুটি ডোজ দিতে হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]