জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। অর্থাৎ রায়ের দিকে দ্রুততম সময়ে যাবে। তবে বাকি সব মামলাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলে। এজন্য যেন নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করে সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমিই শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দি দেন মামহমুদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার দিলেন অবশিষ্ট জবানবন্দি। এর পর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তারা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ১৪তম দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫তম সাক্ষী হিসেবে সিআইডি ঢাকার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মো. শাহেদ জোবায়ের লরেন্স তার জবানবন্দি পেশ করেন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৩তম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এ মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]