দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত করলেও ক্রমেই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে। এক বছর আগে উদ্বোধন হওয়া বিশ্বমানের সড়কটিতে একের পর এক দুর্ঘটনায় অকালে ঝরে পড়ছে বহু প্রাণ।
পুলিশের মতে, ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা হচ্ছে।
আর বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়কের ওপরে বাস বে করা ঠিক হয়নি।
দ্রুত গতির এক্সপ্রেসওয়েতে ডিভাইডার টপকেই পার হচ্ছেন পথচারীরা। সে সঙ্গে বেপরোয়া চলছে মোটরসাইকেল।
ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা দেশের প্রথম সুপার এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা করলেও ঘন ঘন দুর্ঘটনায় সহজ ও নিরাপদ যাতায়াতে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
একমুখী প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা সড়ক সত্ত্বেও দুর্ঘটনার হটস্পট এখন এক্সপ্রেসওয়ে।
মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, হোন্ডা চলছে বেপরোয়াভাবে, দরকার সবার সচেতনতার।
হাঁসাড়া থানার তথ্য মতে, ২০২০ সালের এক জানুয়ারি থেকে চলতি মার্চ পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটারের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জনের।
মুন্সীগঞ্জ হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আহমেদ মজুমদার বলেন, ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা হচ্ছে।
সড়কের ওপরে বাস বে করা ঠিক হয়নি। পর্যাপ্ত ফুটওভার ব্রিজও নেই বলে মনে করেন বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে নতুন করে আরো ১৬টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। সব বাস স্টপেজেই ফুট ওভারব্রিজ দেয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]