তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার তালায় চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও নারীলোভী জৈনক নাজমুল ও রাজু গংদের গ্রফতার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তালা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রেক্সনা বেগম। তিনি তালা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির যাতায়াতের রাস্তা পাঁকা করণের জন্য টেন্ডার হয়। এই রাস্তাটি আব্দুর রহমান ও আমাদের জমির উপর দিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও সম্পূর্ণ রাস্তাটি আমাদের জমির উপর দিয়ে গেছে। এখন পাকা হয়ে গেলে আমরা আর জমি ফিরে পাব না। আমরা আব্দুর রহমান কে জমি বুঝিয়ে দেয়ার কথা বললে আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজু, তার স্ত্রী রমেছা বেগম ও রাজুর স্ত্রী লিপিকা আমার জা রেহেনা বেগম, তার ১ বছরের শিশু বাচ্চাকে মারধর করে আহত করে। সেসময় প্রতিবেশীরা তাদেরকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তী করেন। আমি এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এদের নির্দিষ্ট কোনো দল নেই। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা উপজেলা জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ঘোড়া প্রতিকে ভোট করেছিলো। এখনো তারা সাংবাদিক নজরুল ইসলামের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে। গত ৫ আগষ্টের পরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছে।
আমি তালা সেটেলমেন্ট অফিসে মাস্টাররোলে চাকুরী করি। এই চাঁদাবাজদের ভয়ে অফিসে আসা যাওয়া করতে সমস্যা হচ্ছে। অফিসে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই তারা অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করলে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলে, আমাদের চাঁদা না দিলে তালায় থাকতে দেব না। তালায় কিভাবে কাজ করিস দেখে নেব। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে উপজেলার ঘোনা গ্রামের ঘরজামাই আবু হেনা মন্টুর ছেলে খান নাজমুল, রহিমাবাদ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রাজু ও মৃত্যু আজিজ মোল্লার ছেলে হাফিজুর রহমান আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা নীচে চলে যায়।
এদিকে তালা সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি ও তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাড. মশিয়ার রহমান ও তালা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রেন্টু তালা হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদেরকে বলেন, এটা স্থানীয় সমস্যা। আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এবিষয় নিয়ে নিউজ বা মামলা করার দরকার নেই। তখন এই নাজমুল ও রাজু তাদের উপরেও চড়াও হলে সেখান উপস্থিত স্থানীয় জনগণ তাদের গণধোলাই দেয়। রাজু ও নাজমুল গংদের অত্যাচারে আমরা অত্যাচার হতে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
উক্ত ঘটনায় জামায়াত নেতাদের জড়িয়ে যে মিথ্যা ভিত্তি হীন বিভিন্ন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেকট্রনিক্স,প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]