পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর এলাকার চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ীর মিথ্যা মামলায় পাটকেলঘাটা থানার এসআই এমদাদুল হক তদন্ত না করেই মাদক ব্যবসায়ীর স্বার্থরক্ষায় মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িত না থেকেও পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত ১৮ অক্টোবর বেলা আনুমানিক সাড়ে ১২ টার সময় পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর গ্রামের মৃত মুমিন উদ্দিন সদ্দারের পুত্র চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মুনতাজ আলী সরদারের স্ত্রী নার্গিস বেগম ও মেঝ ভাই হোসেন আলী সরদারের স্ত্রী আকলিমা বেগমের সাথে মুরগীতে ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মাকে (আকলিমা বেগম) রক্ষায় ছেলে আজাদ সরদার ও স্ত্রী নার্গিসের সহায়তায় স্বামী মুন্তাজ সরদার বিবাদে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ভাইপো রাজু সরদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দেয়।
পরবর্তীতে এলাকার চিহ্নিত ও তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি মুন্তাজ সরদার সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমুলী আদালত- ৬ এ একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার সি আর মামলা নম্বর ৩৬৫/২০২৪(পাটকেলঘাটা)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা গেছে, উক্ত মামলার ১ নম্বর আসামি মোঃ হোসেন আলী সরদার, ও ৫ নম্বর আসামী মোঃ মশিউর রহমান সরদার ঘটনার দিন ঘটনাস্থলেই বা এলাকাতেই উপস্থিত ছিল না। ৪ নম্বর আসামীর রাজু সরদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামিয়ে দিতে ভুমিকা রাখেন।
মির্জাপুর গ্রামের মৃত মমিন সরদার ছেলে চিহিৃত ও তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মুন্তাজ সরদারের নামে কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে।
পাটকেলঘাটা থানার এসআই ও কুমিরা ইউনিয়নের বিট অফিসার এমদাদুল হক মাদক ব্যবসায়ী মোন্তাজ সরদার কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে কোনোরূপ তদন্ত ছাড়াই (১) নম্বর আসামি হোসেন আলী সদ্দার, (৪) নম্বর আসামি রাজু সরদার ও (৫ )নম্বর আসামি মশিউর রহমান সরদার আসামীর দেখিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছে। এই মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের সুদৃষ্টি কামনা করেছে। এবংমাদক ব্যবসায়ী কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার এসআই এমদাদুল হক কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি তদন্ত করে সাক্ষীদের মতামত নিয়ে আসামি করেছি আপনি যেটা বলছেন এটা ভুল আপনি একসময় আসেন সবাই মিলে বসে চা খায় যে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে তারা বাড়ি যে ছিল না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বিষয়টা পরে কথা বলবে।
এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানার ওসি মইনুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন টাকা পয়সা খেয়ে আমার থানায় কোন অফিসার যদি মিথ্যা রিপোর্ট দেয়, প্রমাণ হয় অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]