মাহে রমজান ও লকডাউনে গৃহবন্দি শহরের বাজারে এখন হাত ঠেকানোই দায় হয়েছে মধ্যবিত্তের। করোনাভাইরাসের দাপটে স্বল্প সঞ্চয়ে দিন গুজরানের আশায় এবার পড়েছে টান। এদিকে মাহে রজমান, মহামারী করোনা ভাইরাসের লকডাউন ও যোগান কম নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং শাকসবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে তালা উপজেলায়।
সাধারণ পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা দেখা দিলেও দাম বৃদ্ধি করেছেন খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা। তাই দ্রব্যমূল্য শ্রমজীবী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা বিভিন্ন খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ৮ থেকে ১০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ৩৫ টাকা। খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা, প্রতি কেজি চিনি ৭৭ থেকে, মোটা চাল ৪৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে মাংসের দাম। বেগুন ৪০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, লাউ ২০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০-৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে রুই ১৫০-২০০ টাকা, কাতাল ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, শিং ৮০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তালার বাজারে ব্যবসায়ীরা বলছেন,করোনা ভাইরাসের কারণে যানবাহন বন্ধ থাকায় বাইরে থেকে কোন মালামাল আমদানি হচ্ছে না।সরবরাহ কম থাকায় পন্যের দাম বাড়ছে।
তালা বাজারে আসা কর্মজীবী শহিদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় নিত্যপণ্যের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে। মাছের দামও বেশি রাখা হচ্ছে। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]