সাতক্ষীরার তালায় পুকুরে গরুর বর্জ্য ফেলে মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষরা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মাছিয়াড়া গ্রামে।
প্রতিপক্ষ ব্যক্তিরা হলেন মাছিয়াড়া গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ মোড়লের তিন পুত্র আব্দুল্লাহ মোড়ল, সোহাগ মোড়ল ও ফুরকান মোড়ল।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
একবছর পূর্বে এলাকাবাসী ঐ পুকুরের পানি গোসল ও রান্নার কাজে ব্যবহার করতো। সেই পুকুরের পানি বর্তমানে ব্যবহার তো দুরের কথা এসিডে পরিণত হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মাছ নিধন শুরু হয়েছে। এলাকায় মাছ মরে বাতাসে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের এহেনও আচরণের বিচার দাবি করেছেন।
মাছিয়াড়া গ্রামের মৃত মোজাহার মোড়লের ছেলে আবু সিদ্দিক মোড়ল জানান, এক বছর আগে ঐ পুকুরের পানি মানুষ গোসল এবং রান্নার কাজে ব্যবহার করতো। বর্তমানে সোহাগ গংরা তাদের গরুর খামারের বর্জ্য ফেলে পুকুরের পানি দুর্ষিত করে ফেলেছে। তাদের এই বর্জ্য ফেলোর ফলে পুকুরের রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্লাসকার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মারা যাচ্ছে।
আবেদনকারী ও ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম জানান, পুকুরটি দুই শরিকের। তারাও মাছ দেয় আমরাও মাছ দিয়ে সেটি ভোগ করা হয়। ঐ পুকুরের পানিতে গোসল ও রান্নার কাজে ব্যবহার করা হতো কিন্তু বর্তমানে সোহাগ গংরা গরুর খামার করে সেখানে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গরুর সকল বর্জ্য পুকুরে ফেলার কারনে পানি ব্যাবহারের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মনোয়ারা বেগম সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
ইউপি সদস্য হাসান আলী পাড় জানান, সোহাগ গংরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে গরুর বর্জ্য পুকুরে ফেলার ফলে মাছ মরে যাচ্ছে এটি একটি মারাত্মক অপরাধ। তাদের বসাবসির কথা বলা হলেও তারা বিভিন্ন তালবাহানা করে কোথাও না বসার পরে ইউনিয়ন পরিষদে বসার দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৯ জানুয়ারী।
এ ব্যপারে প্রতিপক্ষ সোহাগ জানান, পুকুরের ধারে মনোয়রাদের বাঁশ এবং বিভিন্ন প্রজাতির গাছের পাতা পড়ে পানি নষ্ট হচ্ছে। তাদের নিশেধ করার পরও যখন শুনেনি তখন আমি আমার খামারের গরুর বর্জ্য পাইপ লাইনের মাধ্যমে পুকুরে ফেলেছি। আমার জায়গায় আমি বর্জ্য ফেলেছি আমার আর ফেলার জায়গা নেই।
সেনেটারী ইন্সেপেক্টর আব্দুল মতিন জানান, আমি ইউএনও স্যারের প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছিলাম। পুকুরে গরুর বর্জ্য ফেলছে এবং স্বীকার করেছে। আমি তার ছবি নিয়ে এসেছি, ইউএনও স্যারের কাছে তার প্রতিবেদন দিব। তিনি আইনী প্রক্রিয়ায় যা হয় তাই করবেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, আমার কাছে আবেদন দিয়েছিলো, আমি সেটি তদন্তের জন্য সেনেটারী ইন্সেপেক্টরকে দায়িত্ব দিয়েছি। সেনেটারী ইন্সেপেক্টরের তদন্ত প্রতিবেদনের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]