কোভিড-১৯ এর দিতীয় ঢেউ থেকে সতর্ক থেকে সাস্থ বিধি মেনে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নে ১৪শত ৬৬টি পরিবারের মাঝে ভিজিএফ এর আর্থিক সহায়তায় নগদ অর্থ বিতরন করা হয়। নগদ অর্থ পেয়ে খুশি অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।
আর এই অর্থ বিতরনের নামের তালিকা করায় অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে নগরঘাটা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য আঃ সামাদ সরদারের বিরুদ্ধে। তার বাড়িতে সরকারের নগদ অর্থ পেতে হত-দরিদ্ররা গিয়ে যোগাযোগ করলে তখন তিনি ও তার ছেলে রুবেল ভোটের প্রচারণা করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ব্যক্তি।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ , এই রমজান মাসে রোজা থেকে আমাদের চার থেকে পাঁচবার করে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে সিলিপ দিবে আর বলে বাড়িতে গেলে আমাদের মান অপমান করে ।
ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ সরদার এর আপন ছোট ভাই মোঃ বাচ্চু সরদার কে এই নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।, বাচ্চু একজন চাকরিজীবী। বাজারে একটি মিনি গার্মেন্টস আছে । পাওয়ার যোগ্য না মোঃ মোসলেম শেখ ও তার ছেলে একজন বেসরকারি কলেজের শিক্ষক তাকে দুইটা , মোসলেম শেখের ছোট ভাই রোস্তম শেখ ও তার মেজ ভাই ইউনুস শেখ ও তার কন্যাকে , মোঃ শের আলী শেখের ছেলে রকিব আলি , বাবলু গাজি ও তার মা'কেও এই ঈদের প্রানদনা সিলিপ দেওয়া হয়েছে বলে জানান অনেকেই। সামাদ মেম্বরের ঘনিষ্ঠ লোক যারা সবাইকে সিলিপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
আমরা অসহায় দুস্থ পরিবারের মানুষ । আমাদের দিন আনা দিন খাওয়া, দ্বিতীয় করোনা মহামারীতে আমাদের আয় রোজগার নাই এটা জানার পরেও আমাদের ভোগান্তি দেয় এই ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ।
ইউপি সদস্যের ছেলে রুবেল বলে এদের যতই দিবে এদের কাছে প্রিয় হতে পারবে না । এরা ভোট দেওয়ার সময় অন্য প্রার্থীকে ভোট দিবে কার্ড নেওয়ার সময় বাড়িতে আসবে । এসব ভোটারের আমাদের দরকার নেই। ১১ই মে মঙ্গলবার অকথ্য ভাষায গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাশাপাশি বয়স্ক, প্রতিবন্ধি ও স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতার কার্ড করতে গিয়ে মেম্বরকে ৩ থেকে ৫ হাজার করে টাকা গুনতে হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে ওয়ার্ড সদস্য আঃ সামাদ সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]