সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা ও জালালপুর ইউনিয়নের প্রতিটি সরকারি খাল বর্তমানে প্রভাবশালীদের দখলে নিয়ে নেট-পাটা দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গছে। আর এতে ওই এলাকায় বসবাসকারী লোকজন বর্ষার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে সঠিক সময়ে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না। তেমনি তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যান করছে তারা। বিষয়টি দেখার যেন কেউ নেই।
সরোজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওইসব খালে ১০০ হাত অন্তর নেট পাটা দিয়ে রাখা হয়েছে। আর ওই নেট পাটা দেওয়ার কারণে পানি না সরতে না পেরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগনের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, এলাকার কিছু স্বার্থন্বেষী মহল তারা ভরা বর্ষা মৌসুমে এভাবে পানির স্রোত বাধা সৃষ্টি করায় জলাবদ্ধতা রুপ নিয়েছে। যা আইন বহির্ভূত। শুধু তাই নয় মাগুরা সহ খলিশখালী খেশরা ইউনিয়নে একইভাবে প্রভাবশালীরা দখল করে নিয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ওই প্রভাবশালীরা নেটপাটা দিয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের নিকট বারবার অভিযোগ করলেও অজ্ঞাত কারণে তিনি না দেখার ভান করে থাকেন।
উল্লেখ্য গত বর্ষার মৌসুমে তালা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন মাদরা বালিয়াদহার খাল দেখতে এসে তিনি এলাকাবাসীর হাতে লাঞ্ছিত হন যা পরে মামলায় রূপান্তিত হয়। এ বর্ষা মৌসুমেও ওই প্রভাবশালীরা খালগুলো দখল করে নেট পাটা দিয়ে মাছ ধরছে এতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, তিনি সম্প্রতি এ জেলায় যোগদান করেছেন। বিষযটি তার জানা ছিলো না। খুব দ্রুত তদন্ত পূর্বক ঐ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং দ্রুত ওই সব খালের নেট পাটা অপসরণের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]