সারা দেশে একযোগে বহু কাংখিত কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমের উদ্ভোধন হয়েছে রোববার সকালে। সরকারী পরিপত্র অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের সর্বাগ্রে টিকা নিবে। কিন্তু তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র কোনো ডাক্তার বা নার্স ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায়, অগত্যা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ আমিনুর শেখ’র শরীরে টিকা দিয়ে কার্যক্রম উদ্ভোধন করা হয়। তিনি আটুলিয়া গ্রামের মৃত্যু সিরাজ শেখের পুত্র।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে তালা সরকারী হাসপাতালে কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান উদ্ভোধনী অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ-উল-হাসান।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার মহমান, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) মুর্শিদা পারভিন পাপড়ি প্রমূখ।
এসময় অনলাইনে আবেদনকৃত তালা উপজেলার ১৭ জন ব্যক্তির মধ্যে কেউ-ই টিকা নেননি। এমনকি হাসপাতালের ডাক্তারগনও ভ্যাকসিন গ্রহন করতে আগ্রহী হননি। যে কারনে অগাত্য গ্রাম পুলিশ আমিনুরকে সামনে পেয়ে তাকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে উদ্ভোধন করা হয়।
এ সময় হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্স উপস্থিত থাকলেও বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টিকা না নিয়ে গ্রাম পুলিশকে বেছে নিয়েছেন তারা। এ বিষয়টি জানাজানি হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
গ্রামপুলিশ আমিনুর বলেন, হাসপাতালের কেউ-ই টিকা নিতে রাজি না হওয়ায় আমি সাহস করে এগিয়ে গিয়ে টিকা নিয়েছি।
ডাঃ রাজিব সরদার বলেন, আজ টিকা কার্যক্রম উদ্ভোধন হয়েছে, পর্যায়ক্রমে আমরাও টিকা নিব।
আজ নিলেন না কেন বা হাসপাতালের কেউই টিকা না নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি কাজের ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে এড়িয়ে যান।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, হাসপাতালের ডাক্তার বা নার্সরা টিকা না নেওয়া দুঃখজনক। সবার আগে তাদের টিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভিতি দূর করতে হবে। তা না হলে সরকারের এ মহতি উদ্দ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]