পরাজয় নিশ্চিত জেনে তালা সদর ইউনিয়নের খানপুর এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের লোকজন প্রকাশ্যে তাদের নিজেদের অফিস ও মন্দিরের বেড়া ভাঙচুর করে নৌকার প্রার্থীর উপর দোষ চাপাচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবী করে তালা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন খানপুর গ্রামের রিশি সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ।
শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে তালা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শত শত মানুষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খানপুর গ্রামের সুবোল কান্তি দাসের পুত্র নির্মল কান্তি দাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর (সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে তালা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বর্তমানে অত্র এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সরদার জাকির হোসেনের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে উম্মাদ হয়ে গেছে লাঙ্গল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ভোটের ভরাডুবি ঠেকাতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে তারা নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার জাকির হোসেনকে বিভিন্নভাবে হয়রানীসহ ধর্মীয় ইস্যু সৃষ্টি করে নৌকা প্রতীকের পরাজয়ের নীল নকশায় নেমেছে।
তিনি বলেন, শনিবার বেলা ২ টার দিকে খানপুর মন্দিরের সামনে তারা ৭/৮ জন লোকের চিৎকার শুনতে পায়। এগিয়ে এসে দেখে লাঙ্গল প্রতীকের ক্যাডার একই এলাকার মহাদেব দাস, যুধিষ্টি, রনজিৎ, সুজন, স¤্রাট, পবন দাসসহ কয়েকজন মিলে নিজেরাই লাঙ্গল প্রতীকের পোষ্টার ছিড়ছে ও অফিস ভাংচুর করছে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে লাঠিসোটা নিয়ে যোগ দেয় ইয়াছিন সরদারসহ কয়েকজন। তারা অফিসের লাঙ্গলের অফিসের পাশে থাকা মন্দিরের বেড়া টানা হেচড়া করে এবং ভাংচুর করে নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের দোষারোপ করতে থাকে। অথচ নৌকা প্রতীকের কোন কর্মী কিংবা সমর্থক সেখানে ছিলনা। প্রশাসন সরেজমিনে তদন্ত করলে বিষয়টির আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি তারা থানায় গিয়ে তালা থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। এ সময় তারা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসকের কাছে জোর দাবী জানান। খানপুর রিশিপাড়ার ভবতোষ দাস, বিনয় দাস, বিকাশ দাস, নীলমনি দাস, জয়দেব দাসসহ শত শত মানুষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]