ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা একই শ্রেণিকক্ষে বসতে পারবে না বলে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে সদ্য ক্ষমতা দখল করা তালেবান।
আফগান সংবাদ সংস্থা খামা নিউজের বরাত দিয়ে শনিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের সাথে তিন ঘণ্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানান তালেবান কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এ সংক্রান্ত এক পত্র পাঠিয়ে তালেবান জানিয়েছে, সহশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই, সহশিক্ষা বন্ধের কোনো বিকল্পও নেই। তাই সহশিক্ষা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
ওই বৈঠকে তালেবান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরাতের উচ্চশিক্ষা বোর্ডের প্রধান মোল্লা ফরিদ। বৈঠক শেষে তিনি জানান, সহশিক্ষা অবশ্যই বন্ধ করা উচিত। কারণ সমাজের সব খারাপ বিষয়ের মূলে রয়েছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।
আফগানিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সহশিক্ষার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থাও হয়েছে।
এ ব্যাপারে হেরাত প্রদেশের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আর ইনস্টিটিউটগুলো মেয়েদের জন্য আলাদা শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা করতে পারবে। কিন্তু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকায় তাদের জন্য বিষয়টি কঠিন হয়ে যাবে।
এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে তালেবান নারীদের স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। পুরুষ আত্মীয় ছাড়া নারীদের বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল।
এমনকি বাইরে বের হওয়ার সময় নারীদের চেহারা দেখানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল।তবে এবার নিজেদের রক্ষণশীল মনোভাব থেকে অনেকটাই সরে এসেছে বলে দাবি করেছে তালেবান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]