তিন মিনিটে শেষ চারে পিএসজি'—শিরোনাম পড়ে যারা ভাবছেন খেলার তিন মিনিটেই সব ব্যবধান গড়ে দিয়েছে পিএসজি, তারা এক অর্থে ঠিকই ভাবছেন। তবে সেই তিন মিনিট খেলার শুরুতে কিংবা মাঝামাঝি কোনো সময়ে নয়। একেবারে শেষ মুহূর্তের তিন মিনিট। যখন আটালান্টার সমর্থকদের মনে উল্লাসের ঢেউ আছড়ে পড়ছিল, ঠিক তখনই হ্যাঁচকা টানে তাদের বুক থেকে আনন্দের অনুভূতি কেড়ে নেয় নেইমাররা। আটালান্টার বিপক্ষে ২–১ গোলের জয়ে সেমিতে জায়গা করে নেয় পিএসজি।
দুর্দান্ত ফুটবল খেলে ইতিহাস গড়তে যাচ্ছিল আটালান্টা। পিএসজিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে ওঠাটা ছিল তাদের জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র! শেষ পর্যন্ত আটালান্টার সেই সম্ভাবনা ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়েছে ফরাসি জায়ান্টরা। পুরো ৯০ মিনিট গোলের জন্য হা–হুতাশ করা নেইমার–এমবাপেরা গোল পেল কিনা ৯০তম মিনিটে! আজ পর্তুগালের লিসবনে নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিট আর যোগ হওয়া সময়ের তৃতীয় মিনিটের গোল সব ব্যবধান গড়ে দিল। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিল পিএসজি।
খেলার শুরু থেকেই একের পর সুযোগ হাতছাড়া করছিল পিএসজির ব্রাজিলিয়ান 'পোস্টার বয়' নেইমার। ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি। এরপর এমন মিস করেছেন আরও অনেক। তবু শেষ পর্যন্ত তার ওপর আস্থা রাখেন থমাস টুখেল। এর মধ্যে পিএসজির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে গোলরক্ষক নাভাসের চোট। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার কিছু আগে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নাভাস।
নেইমার নিজে গোল দিতে পারেননি। তবে ৯০তম মিনিটে তার শট থেকে পাওয়া বল জালে জড়ান মার্কিনিয়োস। চুপো–মোটিংয়ের ক্রস থেকে পাওয়া বল ডি বক্সের মধ্যে পেয়ে জালে জড়াতে ব্যর্থ হন নেইমার। তার শট প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে ফেরার মুখে পান মার্কিনিয়োস। নেইমারের স্বদেশী এই ডিফেন্ডার টোকা দিয়ে বল জাল জড়ান। প্রতিযোগিতায় আগের টানা ৩২ ম্যাচ গোলের দেখা পাওয়া পিএসজিকে এই ম্যাচে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
মার্কিনিয়োসের গোলে পিএসজি সমর্থকদের বুক থেকে যেন পাহাড় সমান পাথর সরে। কারণ ১–১ সমতায় ফিরেছে তাদের দল। মিনিট তিনিকের মাথায় আটালান্টার বুকে ছুরি চালান বদলি খেলোয়াড় চুপো–মোটিং। নেইমারের বাড়ানো বল ডি বক্সে ঠেলে দেন এমবাপে। বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি পিএসজির ক্যামেরুনের এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে প্রথমার্ধেই গোল ব্যবধানে এগিয়ে যায় আটালান্টা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল ডি–বক্সে ফাঁকায় পেয়ে যান মারিও পাসালিচ। হাওয়ায় ভাসানো শটে নাভাসকে ফাকি দিতে ভুল করেননি এই মিডফিল্ডার।
সুত্র প্রথম আলো
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]