গত দুই সপ্তাহ ধরে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর আগে কবে এত প্রচণ্ড গরম পড়েছিল সেটা অনেকে মনে করতে পারছে না। বৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে হাহাকার চলছে। এর মধ্যে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৭ এপ্রিল) দেশের তিনটি বিভাগের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে কমবে তাপমাত্রা। পাশাপাশি আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিসহ হাওরাঞ্চলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, আগামীকাল ১৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ১৯ এপ্রিল থেকে ঢাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। ১৯-২০ এপ্রিলের দিকে দেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। তবে ২৩ এপ্রিল থেকে সিলেট সুনামগঞ্জসহ হাওড় এলাকায় ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ২৩ এপ্রিল ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর অঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার ওপর দিয়ে বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজিজুর রহমান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশে চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। তাই দীর্ঘ তাপদাহের পর আবার ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত যানবাহন, ঘরে ঘরে এয়ারকন্ডিশনিংয়ের তাপ এবং নির্মাণকাজের ফলে সৃষ্ট তাপ অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করেন এই আবহাওয়াবিদ। তিনি বলেন, এ কারণে হয়তো ঢাকার পাশের মানিকগঞ্জে জেলাতেই তাপমাত্রা ঢাকার চেয়ে ২-৩ ডিগ্রি কম।
আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আজ বিকেল ৩টার আবহাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বলেন, আজ এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ইশ্বরদীতে। বিকেল ৩টায় ইশ্বরদীর তাপমাত্রা ছিল ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, আজ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোনো কোনো এলাকায় ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঢাকার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রংপুর বিভাগের রাজারহাটে ২১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে চলে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও ৪১ ডিগ্রির উপরে চলে যায়, যা ৫৮ বছরের রেকর্ড ভাঙে। বৃষ্টির জন্য নগরবাসী হাহাকার করছে। বৃষ্টি চেয়ে নামাজও আদায় করা হয়েছে রাজধানীতে। সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়। সেখানে প্রচণ্ড গরমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]