মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে জনজীবনে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস ও ঘনকুয়াশা। এতে শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তীব্র শীতের কারণে শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা। শীতের মধ্যে কাজ করতে বের হয়ে, কাজ না পেয়ে ও শীতের মাঝে কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবীরা।
রাজগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মজনু হোসেন (৪০) ও পথচারী আবুল কাসেম (৫০) এ প্রতিনিধিকে বলেন- ২/৩ দিন ধরে হঠাৎ করে এমন শীত পড়ছে ? যে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বাতাসও বইছে। বাড়ছে শীত জনিত নানা রোগ বালাই। জ্বর-সর্দি ও কাশিসহ নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে। পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের অসুখ-বিসুখও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজগঞ্জ বাজারে সবজি বিক্রি করতে আসা রামপুর গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (৪৫) বলেন- অতিরিক্ত শীত পড়ছে। এর জন্য শীতের মধ্যেও ভোর বেলাতে উঠে শাকসবজি তুলে পানি দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। সকাল ৮টা পর্যন্ত রাজগঞ্জ সবজি বাজারে তেমন একটা ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগম দেখা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন বৃদ্ধি পেতে থাকে।
রাজগঞ্জের হানুয়ার গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী এসএম রানা বলেন, সকালে কোচিং করতে যেতে হয়, কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বেশ শীত পড়ছে। এতে করে আমাদের খুব কষ্ট হয়।
রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামের বৃদ্ধ নুর হোসেন (৭০) ও আলী হোসেন (৭৫) তারা বলেন- কি আর বলবো শীতের কথা, গত কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়ছে, তাতে বাঁচাই দায়। একে তো ডায়াবেটিস, এর জন্য সকালে হাঁটতে যাওয়ারও উপায় নেই। তার ওপর সর্দি-কাশিতো লেগেই আছে। শীতে আমাদের মতো বয়স্কদের খুবই কষ্ট দেয়।
মাঝে মধ্যে ঘন কুয়াশার পড়ছে রাজগঞ্জ অঞ্চলে। এ কারণে কুয়াশা ভিতরে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবহন। তারপরেও ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
এলাকার ইসাহাক আলী নামের একজন দিনমজুর বলেন- প্রতিদিন মানুষের বাড়িতে অথবা ক্ষেতে শ্রমিকের কাজ করতে যেতে হয়। এই তীব্র শীতের মধ্যে যে কি কষ্ট। তারপরেও বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে। সবদিক মিলিয়ে তীব্র শীতে খুব কষ্টে আছে রাজগঞ্জের মানুষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]