হেলাল উদ্দিন, মনিরামপুর : যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে তীব্র শীতের কারনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ কারনে রাজগঞ্জ অঞ্চলে আশঙ্কাজনকভাবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোতে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজগঞ্জ অঞ্চলের বিভিন্ন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা সূত্রে এতথ্য জানাগেছে। এ অঞ্চলের কয়েকটি বিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- প্রচন্ড শীতের কারনে শিক্ষার্থী উপস্থিতি অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা বলেন- শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। একারনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হচ্ছে কম। অধিকাংশ শিশুর গরম কাপড় না থাকায় তীব্র শীতে তারা স্কুলে আসছে কম। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজগঞ্জ এলাকার একজন শিক্ষক জানান- চলমান তীব্র শীত, শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ শিশুর গরম কাপড়ের অভাব। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে অনেক শিশু স্কুলে আসছে না। লাকী খাতুন (৩০) ও শিল্পী (৩০) নামের দুইজন অভিভাবক জানিয়েছেন- শীতের তীব্রতা বাড়ছে। একারনে বাচ্চারা স্কুলে যেতে চায় না। তারপরেও জোর করে নিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে শীত কমে গেলেই নিয়মিত ভাবে স্কুলে যাবে বাচ্চারা। এদিকে হাড়কাঁপানো শীতে এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অচল হয়ে পড়েছে। রাতে ও ভোরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মতো শিশির পড়ছে। দরিদ্র, ছিন্নমূল ও নি¤œ আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। দিনমজুর, শ্রমিক শ্রেণির লোকেরা শীতবস্ত্রের অভাবে কাজে যেতে পারছেন না। রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি ও যানবাহনে মানুষের চলাচল কমে গেছে। এখনো পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে এগিয়ে আসেনি কোনো সংস্থা। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে অনেক বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গবাদি পশুও রয়েছে চরম কষ্ঠে। রাজগঞ্জ অঞ্চলে শীতের তীব্রতা বেশি হওয়ায়। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]