তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়েছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই দেশে ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে আঘাত হানা ভূমিকম্প কাপিয়ে দেয় তুরস্ক ও সিরিয়ার বিশাল একটি অংশকে। ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত দুই দেশে ৩৪ হাজার ১৭৯ জন নিহত হয়েছে।
তুরস্কের ইমার্জেন্সি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা এসএকেওএস জানিয়েছে, তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৬০৫ জনে। এদিকে, সিরিয়ায় নিহত হয়েছে ৪ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছে ৩১৬০ জন বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সরকারের উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
অপরদিকে, সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহত হয়েছে ১ হাজার ৪১৪ জন বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সানা।
ভূমিকম্পের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জীবিত উদ্ধার হচ্ছে, তবে সে সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। সময় যত বাড়ছে তত কমছে জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও থেমে নেই উদ্ধারকারীদের চেষ্টা। তবে এ পর্যন্ত যত মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সে সংখ্যা দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।
৬ ফেব্রুয়ারি ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের পর আরও ২৩ শ'র বেশি আফটার শক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা। এতে যেসব ভবন এখনও অক্ষত আছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এদিকে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। জার্মানিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা দিতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফিজার বলেন, এটি একটি জরুরি সহায়তা। তুরস্ক ও সিরিয়ার যেসব পরিবার জার্মানিতে আছে, কোনো জটিলতা ছাড়াই দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে আসতে পারবে। তাদের দ্রুত ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়মিত প্রক্রিয়ায় এ ভিসা দেয়া হবে। তবে এই ভিসার মেয়াদ হবে তিন মাস।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]