বাজারে পানের দাম একেবারে কমে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছেন মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার পান চাষীরা।
চাষীরা বলছেন- পানের বরজের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধি ও বাজার দর অপেক্ষা উৎপাদনে ব্যয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের ৮ টি গ্রামের প্রায় শতাধিক পান চাষীরা লোকসানের আশংকায় রয়েছেন।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে- রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নে মণিরামপুর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মিষ্টি ও সাচি পান চাষ করা হয়। মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা, চাকলা, কাঁঠালতলা, নোয়ালী, বেলতলা, হাজরাকাটি, রামপুর, মশ্বিমনগর এই ৮ টি গ্রামে পান চাষ হয়। এ গ্রামগুলোর অধিকাংশ পরিবারগুলো পান চাষের উপর নির্ভরশীল।
পারখাজুরা গ্রামের পান চাষি অতুল মন্ডল জানান- এই কিছুদিন আগেও একপোন (৮০টি) মাঝারি সাইজের পান পাইকারি ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই পান এখন মাত্র ৮ থেকে ১০ টাকা দরে পোন বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম একেবারে কমেগেছে।
একই এলাকার আরও এক পান চাষি আজিজুল হক বলেন- বাঁশ, খড়, পাটকাঠি ও বরজ তৈরির উপকরণের দাম এখন আগের চেয়ে ৪-৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক বিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ খৈল প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়াও আছে কীটনাশক ঔষধ ও শ্রমিক খরচ। সব মিলে প্রতি বিঘা জমিতে পানচাষে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এতো খরচ করার পরও, ন্যায্য মূল্য না পেয়ে চরম হতাশায় রয়েছি।
স্থানীয় কয়েকজন পান চাষী জানান- এবার মনেহয় পানচাষে লোকসান হবে। সরকারিভাবে যদি সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়। তাহলেই এ অঞ্চলে পানের চাষ টিকে থাকবে।
স্থানীর উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা ভগীরত চন্দ্র বলেন- আমরা সবসময় কৃষকের পাশে আছি। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকি। এখন বাজারে পানের দাম একটু কম আছে। কিন্তু এমন থাকবে না।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]