ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে দুটির বেশি সন্তান থাকা বা তৃতীয় সন্তান নেওয়ায় শিক্ষকসহ প্রায় এক হাজার সরকারি কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন ভোপাল জেলার বিদিশা শহরের শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) এ কে মোদগিল। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি। অনেকে এখন বলছেন যে তাদের নিয়োগপত্রে এই নিয়মের কথা উল্লেখ করা ছিল না বা ইচ্ছাকৃতভাবে সন্তান নেননি। এমনকি তৃতীয় সন্তান নেওয়ার কথা অস্বীকারও করছেন কেউ কেউ।’
এ কে মোদগিল জানান, ২০০০ সালে মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক নির্দেশনায় বলা হয়, ২০০১ সালের ২৬ জানুয়ারির পর কোনো সরকারি কর্মচারী যদি দুটির বেশি সন্তান নেন তাহলে তাদের চাকরি থাকবে না। তবে প্রশাসন এ নিয়মের কথা কর্মচারীদের জানায়নি বলে দাবি শিক্ষা বিভাগের এই কর্মকর্তার।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের এক বিধায়ক বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে রাজ্য সরকারের ওই আইন অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কতজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বিধানসভায় তা জানতে চেয়েছিলেন তিনি। এর পরপরই শিক্ষকসহ প্রায় এক হাজার সরকারি কর্মীকে তৃতীয় সন্তান নেওয়ার জন্য শোকজ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মোহন সিং কুশওয়াহা নামে একজন শিক্ষক এএনআইকে বলেন, ‘আমাদের কাছে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি যে আমাদের নিয়োগপত্রে এ ধরনের কোনো নির্দেশনার (সন্তান নেওয়ার) কথা উল্লেখ ছিল না। যাদের নিয়োগপত্রে ওই শর্ত দেওয়া রয়েছে সরকারের উচিত কেবল তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া।’
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]