শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫

কলারোয়া নিউজ

প্রধান ম্যেনু

সাতক্ষীরা, দেশ ও বিশ্বের সকল সংবাদ, সবার আগে

দুর্যোগ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সক্ষমতা অর্জনে গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ‘সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে’ থাকার কথা তুলে ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের চক্র থেকে এ অঞ্চলের মানুষকে বের করে আনতে অভিযোজনের আঞ্চলিক সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের (গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-জিসিএ) আঞ্চলিক কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, খরা, ভূমিধস, হিমবাহে ধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয় ঝুঁকিতে আছে দক্ষিণ এশিয়া। এমনকি তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায়) বাড়লেও বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।

“দুর্যোগে শিশু, নারী, বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের ঝুঁকির বিষয়টিও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।”

গত এক দশকে দক্ষিণ এশিয়ার অর্ধেক জনগোষ্ঠী, অর্থাৎ প্রায় ৭০ কোটি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

“এ অঞ্চলের মানুষ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরেকটি এসে আঘাত হানে, ফলে যে কোনো অগ্রগতি উল্টে যায়। এই চক্র ভাঙতে দক্ষিণ এশিয়াকে দুর্যোগে টিকে থাকার সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে।”

প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন, গ্রিন হাউস গ্যাসের কারণে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এবং অন্যান্য পরিবেশগত ক্ষতি রোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন শেখ হাসিনা।

“আমাদের সরকার ২০০৯ সালের বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপ এবং অভিযোজন কর্মসূচি নিয়েছে। ২০০৯ সালে আমরা জলবায়ু ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছি এবং কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে এ পর্যন্ত ৪৩ কোটি ডলার নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দিয়েছি।

“অভিযোজন বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সরকার ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর জিডিপির এক শতাংশ, অর্থাৎ ২০০ কোটি ডলার করে ব্যয় করছে।”

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ শীর্ষক শতবছরের পরিকল্পনা গ্রহণের কথা অনুষ্ঠানে বলেন প্রধানমন্ত্রী।

জিসিএর বাংলাদেশ কার্যালয় দক্ষিণ এশিয়ার অভিযোজন এবং জলবায়ুসহিষ্ণুতা অর্জনে সহায়তা করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

“আমি আশা করি, এই কার্যালয়ের মাধ্যমে অভিযোজন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা এবং কর্মসূচি বিনিময় হবে। এ অঞ্চলের অভিযোজন বিষয়ক সমস্যা সমাধান এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে কাজ করবে এই কার্যালয়।”

ইউএনএফসিসিসি’র জলবায়ু বিষয়ক দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম’ এবং ‘ভালনারেবল-২০’ এর সভাপতি পদে বাংলাদেশের প্রার্থিতায় জিসিএর ঢাকা কার্যালয় সমর্থন দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ ‘অনন্য নজির’ স্থাপন করেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় এখানকার জনগণ বারবার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে। তারপরও পরিবর্তন করার মতো এখনও অনেক কিছু আছে।

“আমি মনে করি, এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেরও অভিযোজন বিষয়ে একই ধরনের অভিজ্ঞতা এবং কর্মসূচি রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা একসঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা এবং উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারব।”

জলবায়ু পরিবর্তন যেহেতু একটি বৈশ্বিক সমস্যা, তাই এর ঝুঁকি কমাতে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন দেশের প্রতিশ্রুত জাতীয় সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

কোভিড-১৯ মহামারী সব দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং একসঙ্গে কাজ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বর্তমান এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় আমাদের একে অপরকে ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়।”

মহামারীর মধ্যে বাংলাদেশে কার্যালয় চালু করতে সহযোগিতা করায় তিনি জিসিএর সভাপতি বান কি মুনকে ধন্যবাদ জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিসিএর বাংলাদেশ কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

একই রকম সংবাদ সমূহ

গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত ‘হ্যাঁ’ হলে যা হবে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে একই সঙ্গে হবে গণভোট। গণভোটে চারটিবিস্তারিত পড়ুন

যে কারণে নির্বাচন ও গণভোট একসাথে, থাকবে ৪ প্রশ্ন

ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে জাতীয় নির্বাচনের দিন একই দিনে গণভোট হবে অনুষ্ঠিত হবেবিস্তারিত পড়ুন

এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এখন আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতিবিস্তারিত পড়ুন

  • দিল্লিতে বোমা হামলায় ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের
  • ৩-৪ দিনের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত: আইন উপদেষ্টা
  • দেশ-বিদেশের কোনো শক্তিই ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে পারবে না: প্রেস সচিব
  • পালিয়ে গিয়েও হাসিনার সন্ত্রাস থামছে না: প্রেস সচিব
  • দেশের সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতার নির্দেশ
  • নির্বাচনী প্রচারণায় পোস্টার ও ড্রোন ব্যবহারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
  • দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে: গভর্নর
  • প্রতীক তালিকায় ‘শাপলা কলি’ যুক্ত করল ইসি
  • ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
  • সারাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে সমাজসেবা কার্যালয় কাজ করছে: ধর্ম উপদেষ্টা
  • বন্ধ হচ্ছে অননুমোদিত মোবাইল ফোন