দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটা উপজেলার আইনশৃঙ্খলা ও উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের সঞ্চলনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান।
বক্তব্য দেন দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ মাহামুদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জিএম স্পর্শ, দেবহাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর খায়রুল আলম, কুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আছাদুল হক, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বকুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলি মোর্তোজা মোহাম্মাদ আনারুল হক।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর, সিনিয়র মৎস্য অফিসার আলমগীর হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ পলাশ দত্ত, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল বশার, নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম, সমাজসেবা অফিসার অধীর কুমার গাইন, মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান, আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আসলতা খাতুন, সহকারী প্রোগ্রামার ইমরান হোসেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক জয়া রানী, তথ্য কর্মকর্তা মৌসুমি সুলতানা, ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুস সাত্তার সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিজিবি প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
সভায় আলোচিত হয় যে, দেবহাটা সীমানাবর্তী ইছামতি নদীর বালু মহাল বন্ধ থাকলেও গোপনে চুরি করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তাছাড়া নদীর পাড়ে অবৈধ ভাবে বালু স্তুপ করে রেখে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। নির্বাহী অফিসার বলেন দেবহাটার রামনগর মৌজা থাকলে তা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সেটি উদ্ধারে উদ্যোগ নিতে হবে। এছাড়া দূর্ঘটনা এড়াতে উপজেলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্প্রিড ব্রেকার নির্মান এবং সড়কের পাশের মরা গাছ অপসরণের দাবি করা হয়। পরে আলোচনায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল কেটে ইউনিয়ন পরিষদ বা ভূমি অফিসে জমা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগন বিভিন্ন খালের ইজারা বাতিলের দাবি করে সেগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানান। একই সাথে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা পরিস্থি বজায় রাখতে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানানো হয় সভায়। পরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলেক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দিবসটি “ক” শ্রেণির দিবস ঘোষনা হওয়ায় যথাযথ ভাবে পালনে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]