দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটার শশাডাঙ্গা এলাকায় দিনদুপুরে মৎস্যঘের লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ভ‚ক্তভোগী দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের মৃত ছইল উদ্দীন গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী (৬৫) বাদি হয়েছে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এই ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে অভিযুক্তরা হলেন পূর্ব কুলিয়া গ্রামের মৃত জসীম উদ্দীন সরদারের ছেলে করিম হাজী ও নরিম সরদার, একই এলাকার করিম হাজীর ছেলে ওসমান সরদার, ডাকনাম মেজ’র ছেলে রাজ্জাক সরদার, তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরের দিন গত ৬ আগস্ট দুপুরে শশাডাঙ্গা এলাকার মৎস্য জগন্নাথপুর (ছোট) মৌজা, এস, এ খতিয়ান নং-১১২, আর,এস-৬৯৩ দাগ নং-এস, এ-২৩৭/৩১৪, হাল-১০০৫, জমির পরিমান-৩.৩০ একর জমিতে মৎস্যচাষ করে আসছেন আব্দুর রশিদ গাজী। তিনি জানান, কোবলা দলিল মূলে খরিদ করে সেখানে মৎস্যঘের করে ২০২০ সাল থেকে ভোগ দখল করে আসছি। বিগত বছরের ন্যায় এবছরও উক্ত ঘেরে বাগদা, গলদা চিংড়ীসহ বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছের চাষ করা হয়। কিন্তু গত ৬ আগস্ট বেলা ২ টার দিকে ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে জাল দিয়ে ঘের থেকে ২৫ হাজার টাকা মূল্যে মাছ লুট করে এবং ঘেরের বাসা ঘর পুড়িয়ে দিয়া অনুমানিক ১৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এছাড়া ঘেরের বাসার মধ্যে থাকা সোলারের প্যানেল, ব্যাটারী, মাছের খাদ্য, একটি বাটাম মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে চলে যায়। সর্বমোট যার আনুমানিক মূল্য ২৭ হাজার টাকা। একপর্যায়ে তারা আমাদেরকে জীবন নাশের হুমকীসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে ঘেরে পুনরায় বাসা ঘর তৈরী করি। কিন্তু তারা (১৯ আগস্ট) সোমবার দিবাগত রাতে আমাদের ঘেরে অনধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক বড় জাল দিয়ে ঘের থেকে দেড় লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায় এবং ঘেরের বাসা ঘর ভাঙচুর করে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। যাওয়ার সময় ঘেরের ভেড়ীবাধের উপরে থাকা দুইটি ৩ ইঞ্জি চায়না স্যালোমেশিন নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগায় (১৯ আগস্ট) দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
করিম হাজী জানান, ওই জমিটি আমাদের বিনিময়কৃত সম্পত্তি। ইতোপূর্বে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা বেদখল ছিল। আমরা আমাদের জমি নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছি।
এবিষয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]