সাতক্ষীরার দেবহাটার সখিপুর ইউনিয়নের শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে পানি দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ৫ জনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সখিপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পিলের মাঠ এলাকার শেখ রাসেল স্মৃতি ফুটবল মাঠে ধান ক্ষেতের পানি দেওয়া কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।
এতে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ সরদার (৭০), আবুল সরদার (৬৫), আব্দুল গফুর (৬৩) ও রাজু (৪০) নামের ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, সখিপুরের শেখ রাসেল স্মৃতি মাঠে কিছুদিন আগে প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ভরাট করে শিশুদের খেলার উপযোগী করা হয়েছে। ঈদের কয়দিনপর ওই মাঠে একটি টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। শনিবার সকালে আমাকে স্থানীয়রা ফোন করে জানান পাশের বিলের ধান ক্ষেতের পানি মাঠে সেচ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেনে আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে আজহারুল ইসলাম নামের ব্যক্তির কাছে পানি সেচের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমি খেলার মাঠে এভাবে পানি সেচ দেওয়া বন্ধ করতে বললে আমার উপর চড়াও হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় কল দিতে থাকে। একপর্যায়ে আমি পানি সেচ বন্ধ করে দিলে আমার উপর হামালা করে। আমার মাথা সেলাইরেন্স দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থান আঘাত প্রাপ্ত হলে স্থানীয় জনসাধারণ এসে আমার উপর হামলাকারীদের মারপিট শুরু করে। তাদের হামলায় কয়জন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির উপর হামলার ঘটনায় আমি নিজে বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছি।
সখিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার আমজাদ হোসেন জানান, আমার ভাইপো আজহারুল আমাকে কল করে তার ধানের ক্ষেতে যেতে বলেন। আমি তার ফোন পেয়ে সেখানে পৌঁছালে মোটরসাইকেল থেকে নামার আগে টেনে হেচড়ে নামানো হয়। পরে আমাকে এবং আমার ৩ ভাই ও আমার ভায়ের কর্মচারীকে তারা পিটিয়ে জখম করে। ততক্ষণ ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে সবকিছু ছত্রভঙ্গ করেন। তখন আমি অচেতন ছিলাম। জ্ঞান ফিরলে আমাকে ও আমার ভাই আবুল সরদার, আব্দুল গফুর ও কর্মচারী রাজুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
এঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে ধোর্য্য ধারণ করার অনুরোধ জানান।
তবে এঘটনায় সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২/৩ জন অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে যাতে আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় সে বিষয়ে আমি নিজেই তদারকি করছি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি এজাহার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]