দেবহাটা প্রতিনিধি: দেবহাটায় যৌতুকের দাবিতে সুমাইয়া পারভীন (১৮) নামের এক গৃহবধূকে অমানসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আহত গৃহবধু উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে। এঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধুর পিতা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে ওই নারীর স্বামী সখিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে জিসান বাবু, শ্বশুর খলিলুর রহমান ও শাশুড়ী রমিছা খাতুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে ও গৃহবধূর পিতা নজরুল ইসলাম বলেন, ৫মাস আগে আব্দুর রহিম ওরফে জিসান বাবুর সাথে আমার কন্যা সুমাইয়া পারভীনের বিবাহ হয়। বিবাহের পর তারা আমার কন্যাকে যৌতুক জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি কন্যার সুখের জন্য বিভিন্ন প্রকার স্বর্নালঙ্কার, খাট, সোকেজ, ফ্রিজ, আলমারী সহ নগদ ৫লক্ষ টাকা প্রদান করি। কিন্তু যতই যৌতুকের মালামাল ও টাকা প্রদান করা হোক না কেন তাদের চাহিদা ততই বাড়ে। তারা যৌতুকের দাবিতে প্রায় সময় আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকে। গত ২ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আবারো ২লক্ষ ৫০হাজার টাকা যৌতুক দাবী করলে আমার মেয়ে অপরাগতা প্রকাশ করলে তার শ্বশুর-শাশুড়ীর নির্দেশে স্বামী আব্দুর রহিম ওরফে জিসান বাবু পিটিয়ে জখম করে।
এসময় সে আমার ২মাসের অন্তঃসত্তা মেয়ের লাথি মারে এবং জীবন নাশের হুমকিসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতির দেখিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পরবর্তীতে আমার মেয়ে সুমাইয়া পারভীন পালিয়ে আমার বাড়িতে আসলে আমি তাকে মারাত্বক জখম অবস্থায় সখিপুর হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে ভর্তি করনো হয়। বর্তমানে সে উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আহত সুমাইয়া পারভীন বলেন, আব্দুর রহিম ওরফে জিসান বাবুর সাথে তার বিয়ে হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছে। তার একাধীক নারীর সাথে সম্পর্ক আছে। এমনকি আমি সহ অনেকগুলো বিয়ে রয়েছে। সব সময় আমাকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি যখন বাপের বাড়ি না যেতে তখন নির্যাতন বেড়ে যায়। সে যখন বাড়ি থেকে কোথায় গেলে আমাকে বাড়িতে আটকে রেখে যেত। গত ২ তারিখে আমাকে অমানসিক নির্যাতন করে। আমি সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসি। এরপর সে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমরা পুলিশ সুপার ও দেবহাটা থানার ওসির সহযোগীতা কামনা করছি। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]