তুচ্ছ ঘটনার জেরে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে নৃশংসভাবে ধারালো দাঁ দিয়ে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মাদক ব্যবসায়ী শেখর দাসকে আটক করেছে পুলিশ। সে পারুলিয়ার গড়িয়াডাঙ্গা ঋষিপল্লীর শ্রীরাম দাসের ছেলে।
রবিবার দুপুরে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে জখম করে সে। খবর পেয়ে দেবহাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। নৃশংসভাবে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে জখমের পর প্রত্যক্ষদর্শীদের সামনে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন মাদক ব্যবসায়ী শেখর দাস।
লোমহর্ষক বর্ণনায় শেখর দাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি মাদকসেবন ও ব্যবসা করছি। সখিপুর ঋষিপল্লীর মাদক ব্যবসায়ী মন্টু ওরফে কানা মন্টুর থেকে মাদক কারবারে আমার হাতেখড়ি। এনিয়ে প্রতিনিয়ত আমার স্ত্রী সাজিয়া দাসের সাথে পারিবারিক কলহ বাঁধতো। কলহের সময় স্ত্রী কথা শোনেনি, তাই হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ির ধারালো দাঁ দিয়ে স্ত্রী ও শ্যালিকা অনিমা দাসকে কুপিয়েছি’।
এদিকে কুপিয়ে জখমের পর রক্তাক্ত অবস্থায় সাজিয়া দাস ও অনিমা দাসকে হাসপাতালে নেয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের দু’জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাকিব হাসান বাঁধন বলেন, আহত দুই নারীর মাথায় গভীর ক্ষত হওয়ায় তা সার্জারির জন্য নিওরোসার্জন প্রয়োজন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবহাটা থানার ওসি বাবুল আক্তার বলেন, স্ত্রী ও শ্যালিকাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় আহতের পরিবার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী শেখর দাসকে পুলিশ আটক করে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]