দেবহাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়া জাকিরের পরিবার এখন পথে বসার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে গভীর সাগরে পড়েছে তারা।
সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত জাকির হোসেন (৩৬) এর পরিবারে রয়েছেন ৩কন্যা ও এক স্ত্রী। তার পরিবারে কয়েকদিন পর জন্ম নিবে আরো একটি কন্যা শিশু।
অভাবগ্রস্থ জাকির পুত্র সন্তানের কামনায় একে একে ৪টি সন্তান নিলেও সবকটি মেয়ে শিশু হয় তার। তবুও সে অখুশি ছিলেন না বলে জানা গেছে পরিবার থেকে। কিন্তু তার মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে ঘোর অন্ধকার। বাবার ২ শতক জমিতে জাকির ও তার ভাই দুজনের বসবাস করেন। তার ভাই পাকার ঘর নির্মান শুরু করলেও কবে ঘর নির্মান করবেন জানতেন না তিনি।
গাজীরহাট বাজারের উত্তর পাশে রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি আটল (মাছ ধরার জন্ত্র) বিক্রি করে চলত তার সংসার।
তবে কি হয়েছিল সেদিন জাকিরের?
জানিয়েছেন ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা মোক্তার আলী নামের এক ব্যক্তি।
মোক্তার আলির চোখে দেখা সেই দিনের ঐ ঘটনা আজও ভুলতে পারছেন না।
মোক্তার আলি বলেন, ঘটনার দিন তিনি (জাকির) নিজের ব্যবসার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ২৬ মার্চ শুক্রবার সকালে কালিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা গ্রিন বাংলা পরিবহন প্রথমে ভোলা মাস্টার নামের একজনকে ধাক্কা দেয়। তারপর জাকিরকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে ঐ শিক্ষক মারা যান। আর জাকিরকে নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জাকির হোসেনের অবস্থা অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু পরপর তার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে খুলনা ২৫০ শষ্যা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় তাকে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাকির।
এদিকে নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা নিয়ে যে সময় ব্যস্ত ঠিক সেই সময় তার সন্তানসম্ভবা স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে পরিবারটি পড়েছে বিপাকে।
বর্তমানে নিহতের লাশ সাতক্ষীরা মর্গে ময়নাতদন্তে নিয়ে গেছে পুলিশ। লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিবারের বাকি স্বজনরা।
পরিবারের উপার্জনকারী চলে যাওয়ায় পরিবারটি চরম অভাব অনাটনে পড়বে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এলাকায় জাকির হাস্য উজ্জ্বল ও সৎ মানুষ হিসাবে বেশ প্রিয় বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ মার্চ শুক্রবার সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়কে গ্রিন বাংলা পরিবহনের ধাক্কায় ৭০ উদ্ধের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিহত হন। একই ঘটনায় জাকির হোসেন সহ আরও একজন আহত হন। আহত হওয়ার ৫ দিন পর জাকির হোসেন মারা গেছেন।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]