সাতক্ষীরার দেবহাটা সদর ইউনিয়নে সরকার প্রদত্ত শ্রমজীবী পেশাজীব মানুষের সহায়তায় করোনা উপলক্ষে প্রণোদনার টাকা আত্মসাতের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সাতক্ষীরা দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়নের শ্রমজীবী পেশাজীবী অসহায় মানুষের সাহায্যার্থে ২,৭৫,০০০ ( দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার) টাকা নগদ প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করা হবে মর্মে তালিকা প্রণয়নের অনুমোদন দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদকে ২,৭৫,০০০ ( দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার) টাকা নগদ প্রদান করা হবে। যা প্রত্যেক ওয়ার্ডের মেম্বারগন ৬১ জন বরাদ্দ পাবে। কিন্তু দেবহাটা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কর গাজী প্রত্যেক মেম্বারকে প্রথমে ৫০ জনের তালিকা দিতে বলে। পরে তা বাতিল করে ৩০ জনের তালিকা প্রণয়ন করতে বলা হয়। বাকি ২৮০ জনের তালিকা চেয়ারম্যান নিজে হাতে রেখে দেয়। যা পূর্বের ঘটনা অনুযায়ী টাকা লোপাট করার সন্দেহ প্রকাশ করছে। এও শোনা যায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বা যশ এর কারণে বেড়িবাঁধে নাকি সে এক লক্ষ টাকা খরচ করে যার কোনো প্রমাণ নাই। সে ওই এক লাখ টাকা উত্তোলন করার জন্য এই ২৮০ জনের তালিকা হাতে রেখে দিয়েছে বলে জনশ্রুতিতে আছে। তবে এর কোনও সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় নাই।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান সবুজ ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন এবং বলেন, করোনা কালীন সময়ে ২য় দফায় অসচ্চল খেটে খাওয়া মানুষের জন্য জন প্রতি ৫০০ টাকা করে, প্রত্যেক টি ইউনিয়ন পরিষদে ২ লাখ ৭৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। এই অনুদানের জন্য মানুষের তালিকা উপজেলা পিআইও অফিসে আসলে আমি তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করে দেখব।
এ প্রসঙ্গে জনৈক সাংবাদিক এলাকায় খোঁজখবর নিতে গেলে তাকে হুমকি প্রদান করা হয়।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এবং এই প্রণোদনা টাকা প্রকৃত খেটে খাওয়া মানুষ পেতে পারে সেবিষয়ে জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসী অনুরোধ জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]