দেবহাটা থানায় জিডি’র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নিখোঁজ দুই কিশারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ কিশোরীরা, উত্তর কুলিয়া গ্রামের মফিজুল ইসলামের কন্যা মরিয়ম (১৩), ও উত্তর কুলিয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের কন্যা ইতি আক্তার (খুশি) (৯)।
থানা সূত্রে জানাযায়, গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার মায়ের সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে পরিবহন (বাস) যোগে রওনা হয় দুই কিশোরী। অনেক খোজাঁ-খুজিঁর পর মেয়েকে না পেয়ে মরিয়মের পিতা মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় নিখোঁজ জিডি করেন। যার নং-৫৭৩। এরপর থেকে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সজীব খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড এপস্) ইকবাল হোসেন এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দেবহাটা সার্কেল) এসএম জামিল আহমেদ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ এর নেতৃত্বে দেবহাটা থানার এসআই (নিঃ) নূর মোহম্মাদ মোস্তফা উন্নত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এবং অফিসার ইনচার্জ গোয়ালন্দ থানার সহযোগীতায় ফরিদপুর দৌলদিয়া হাইওয়ে মালঞ্চ বাস থেকে রাত ২টার দিকে দুই নিখোঁজ কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, গত ১৭ ফেব্রæয়ারী ওই দুই কিশোরী পরিবারের উপর অভিমান করে নিজ নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে তাদের অভিভাবকগণ আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে গত ১৭ ফেব্রæয়ারী তাদের মেয়ে নিখোঁজ জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মরিয়মের পিতা মফিজুল ইসলাম। পরবর্তীতে দেবহাটা থানার এসআই (নিঃ) নূর মোহম্মাদ মোস্তফা উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরে গোয়ালন্দ থানার সহযোগীতায় ফরিদপুর দৌলদিয়া হাইওয়ে মালঞ্চ বাস থেকে রাত ২টার দিকে ওই দুই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার সকালে তাদের দুজনকে উদ্ধার করে দেবহাটা থানায় নিয়ে আসা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিখোঁজ দুই কিশোরীকে তাদের পরিবারের জিম্মায় প্রদান করা হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]