মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতিসহ কয়েক ডজন মামলার আসামি রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে র্যাব।
বুধবার রাতে দেবহাটা থানায় এ মামলা করা হয় বলে ওই থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানিয়েছেন।
রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানের পর এক সপ্তাহ পালিয়ে থাকা সাহেদকে বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার সীমান্তবর্তী শাঁখরা কোমরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তাকে গ্রেপ্তার করার পর র্যাব জানিয়েছিল, ধরা পড়ার সময় সাহেদ বোরকা পরিহিত অবস্থায় নৌকায় করে পাশের দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। সে সময় সাহেদের কোমরের বেল্টে একটি পিস্তল গোজা ছবিও গণমাধ্যমকে দেয় র্যাব।
ওসি বিপ্লব কুমার সাহা জানান, বুধবার রাতে র্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
“১৯৭৮ সালের আর্মস এ্যাক্টের ১৯-এ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।”
তিনি জানান, মামলায় সাহেদকে মূল আসামি, নৌকার মাঝি বাচ্চুকে পলাতক এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে।
সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। সর্বশেষ করোনাভাইরাসের ভুয়া পরীক্ষা ও জাল সনদ দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় র্যাব রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে আত্মগপোনে ছিলেন সাহেদ। বুধবার ভোরে অবৈধ অস্ত্রসহ বোরকা পরা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]