মজুত না থাকায় একে একে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের ৪৪ জেলায় কোভিড টিকাদান কর্মসূচি। রাজধানীতে বন্ধ অর্ধেকের বেশি টিকাদান কেন্দ্র। এই অবস্থায় অনিশ্চয়তায় রয়েছে ১৪ লাখের বেশি মানুষের নির্ধারিত সময়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪ মাসের ব্যবধানেও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যেতে পারে। তবে তার আগেই নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় টিকার মজুত।
রাজধানীর জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট। ফুরিয়ে গেছে কোভিড টিকার মজুত, তাই চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই বন্ধ এ কেন্দ্রের টিকাদান কর্মসূচি। তবে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তা জানানো হয়নি টিকাপ্রত্যাশীদের, ফলে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্ধারিত দিনে কেন্দ্রে এসে টিকাপ্রত্যাশীদের ফিরে যেতে হচ্ছে তিক্ততা নিয়ে। কেন্দ্রটি থেকে প্রথম ডোজগ্রহীতা প্রায় ৪ হাজার ব্যক্তি এখন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায়।
একজন জানান, প্রথম ডোজ নিয়েছি। এখন দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে নিশ্চয়তা আছি। পাব কি-পাব না। সরকার থেকে পরিষ্কারভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
রাজধানীর ৪৭টি কেন্দ্রের ২৪টির চিত্রই এখন এটি। আর দেশের ৬৪ জেলার ৪৪টিতেই টিকার অভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া। যেসব কেন্দ্রে চলছে, সেগুলোতেও টিকা দেওয়ার হার একেবারেই কম। সারাদেশে দৈনিক টিকা দেওয়ার সংখ্যাও নেমে এসেছে ৫ হাজারের ঘরে।
ভারত সরকারের উপহার আর সেরাম থেকে কেনা এ দুয়ে মিলে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে এক কোটি ৩ লাখ। ৫৮ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রথম ডোজ নেওয়ার বিপরীতে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৪২ লাখ ২৮ হাজার। হাতে টিকা আছে কেবল আড়াই লাখের মতো, অথচ এখনো দ্বিতীয় ডোজ না পাওয়া ব্যক্তি প্রায় ১৬ লাখ।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেতে সরকার নানা প্রচেষ্টার কথা জানালেও এখনো জানা নেই কবে মিলবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪ মাসের ব্যবধানেও দেয়া যাবে দ্বিতীয় ডোজ। আর এর মধ্যে পর্যাপ্ত টিকা নিশ্চিতে জোর দিতে হবে নীতিনির্ধারকদের।
কোভিড সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সহীদুল্লাহ বলেন, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এখনো ১৫-১৬ লাখ দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। চার মাস পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়া যাবে।
টিকা বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]