জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ রুখতে দ্রুত এসব মামলাগুলো শেষ করতে বিচারকদের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়মুক্তি দিয়ে বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তাই মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে যা যা দরকার সরকার তার সবই করবে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ৫৯তম বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতি মুহূর্তে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের ধরণ পাল্টাচ্ছে। এসব মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের ১৮ সদস্যের হত্যার বিচার পেতে ৩৫ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়ের দিন হরতাল ডেকেছিলো বিএনপি-জামায়াত। তাই নিজের মতো যাতে আর কারো বিচারের জন্য পথ চেয়ে না থাকতে হয় সেজন্য যা যা দরকার সরকার তার সবই করবে।
এসময় তিনি করোনার সময় ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে ভার্চুয়াল আদালত চালুর কথা মনে করিয়ে দেন।
বিচারকদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া এবং আন্তর্জাতিক মানের জুডিশিয়াল সার্ভিস একাডেমি করে দেয়ার কথা জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন নিশ্চিত করার কথা বলেছিলাম। কেননা এর ভুক্তভোগী আমরাই ছিলাম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের অনেকের অবস্থান জানি। বিচারকরা সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির আমলে জঙ্গি হামলা থেকে আদালতও রেহাই পায়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করেছে।
তিনি জানান, জঙ্গিবাদের ধরণ পাল্টে যাচ্ছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদে অনেকে জড়াচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলাগুলো দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। সবক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ হবে উন্নত।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]