আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি। কারণ, নিজের সম্পদ অন্যের হাতে তুলে দিতে চাইনি। গ্যাস বিক্রি করতে চাইনি। দেশ বিক্রি করে যে রাজনীতি করতে হয়, সে রাজনীতি আমি করি না। আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মেয়ে। আমি দেশকে ভালোবাসি।
শনিবার বিকালে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, রাঙ্গামাটি, বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটার নির্বাচনি সমাবেশে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে যোগ দেন তিনি।
বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসেনি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) ভোট ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, সেই ভয়ংকর রূপ নিয়ে আবার নেমেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায় তাদের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল, আবারও তাই শুরু করেছে। রেলে আগুন দিচ্ছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কয়েক দিন আগে রেলে আগুন দিল, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে একজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা...একটা মা তার শিশুকে বুকে নিয়ে বসে আছে, সে মা-শিশু পুড়ে কয়লা হয়ে গেল। কোনো মানুষের ভেতরে মানুষত্ব্য থাকলে এ ঘটনা ঘটাতে পারে না।
বিএনপির নেতা কে- এ প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দলটির শীর্ষ দুজনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এতিমের টাকা আত্মসাৎ ও বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ভাই-বোনের রিকোয়েস্টে (অনুরোধে) খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়েছে। সরকার এ ক্ষেত্রে মানবিকতা দেখিয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল না। তারা সন্ত্রাসী দল। আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এদের থেকে দেশকে মুক্ত রাখতে হবে। বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তারেক রহমান বিদেশ থেকে হুকুম দিয়ে মানুষ পোড়াচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা আগুন দিচ্ছেন, মানুষ হত্যা করছেন, পাপের ভাগিদার তারাই হবেন। ও (তারেক) তো ওখানে জুয়া খেলে ভালোই আছে। ও হুকুম দেয়, আর এখানে বিএনপি কর্মীরা নাচেন। সাহস থাকলে দেশে আসুক। দেশের মানুষ এসব হত্যার প্রতিশোধ নেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তাই সব প্রার্থীকে জনগণের কাছে যেতে হবে। আমি চাই নির্বাচনটা শান্তিপূর্ণ হোক। জনগণের যে ভোটের অধিকার, তার সবটুকু প্রয়োগ করতে পারুক। গণতন্ত্রটাকে সুরক্ষিত করতে চাই। গণতান্ত্রিক পরিবেশ, বিধি-ব্যবস্থা থাকলে দেশের উন্নতি হয়।
বিভিন্ন খাতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রতিটি জায়গা আমরা উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
এরপর বিভিন্ন জেলার দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]