নড়াইলে ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিয়ের নাটক
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিয়ের নাটক সাজিয়েছে শাপলা খানম দিলরুবার নামে একনারী।
বিধি মোতাবেক ওই ছেলে দিলরুবা কে তালাক প্রদান করলে সে আবার কোর্টে গিয়ে ওই ছেলের নামে মামলা করেছে। দিলরুবা উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের ইতনা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে শাপলা খানম ওরফে দিলরুবা।
লিখিত অভিযোগ ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া পৌর সভার মদিনাপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে রায়হান হাসান গত ২৩ নভেম্বর ইতনার রাধানগর বাজার থেকে ব্যবসায়ীক বকেয়া ৩ লক্ষ নগদ টাকা আদায় করে লোহাগড়া ফেরার পথে সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে ইতনা গ্রামের দেলোযার হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছালে, পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দেলোয়ার হোসেন, লালন মোল্যা, ইউনুচ শেখসহ ৭/৮ জন মিলে তার মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে চাবি নিয়ে যায়। পরে তাকে টেনে হেচড়ে দেলোযার হোসেনের বাড়িতে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে তার কাছে থাকা (ব্যবহৃত) লক্ষাধিক টাকার মোবইল ফোন, মানিব্যাগে থাকা ৩ লক্ষ টাকা দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনাক্রমে রায়হান হাসানের ইতনা গ্রামের আত্বীয় স্বজনরা ঘটনাটি জেনে ফেলে।
ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই ছেলের সাথে দেলোযার হোসেনের মেয়ে শাপলা খানম দিলরুবা কে জোর পূর্বক বিবাহ দেয়। রায়হান হাসান ভয়ে ও লজ্জায় বাসায় কাউকে সে কিছু বলেনি। সে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে নিজের থেকে গত ৮ ডিসেম্বর ঘটনার বিষয় নিয়ে লোহাগড়া থানায় জিডি করেন। জিডি নং-৩৬২,তাং ০৮.১২.২০২২।
রায়হান হাসান স্ত্রী দিলরুবা কে মুসলিম পারিবারিক আইনে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে গত ৮ ডিসেম্বর তালাক প্রদান করে। এছাড়া গত ১১ ডিসেম্বর মোকাম বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের কার্যালয়, নড়াইলের মাধ্যমে এভিডেভিট (তালাক সংক্রান্ত) প্রদান করে।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে দিলরুবা লোহাগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করলে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২৬ ডিসেম্বর বিষয়টি শুনানীর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে উভয় পক্ষকে উপস্থিত হতে বলে কিন্তু মেয়ে পক্ষ হাজির হয়নি। পূণরায় গত ৯ জানুয়ারী তার দপ্তরে উভয় পক্ষকে হাজির হতে বলেন।
ওইদিন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের শুনানী হয়। শুনানী শেষে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি নিয়ে মেয়ে পক্ষ আর কোন বাড়াবাড়ি না করে সামাজিক ভাবে আপোস মিমাংশার সম্মত হয়। পরে মেয়ে পক্ষ আর সামাজিক ভাবে আপোস করতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান বলেন, গ্রাম্য আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য মেয়ে পক্ষ কে আসতে বলেছি, কিন্তু তারা আর আসেনি তবে শুনেছি, ছেলের বিরুদ্বে আদালতে তারা মামলা করেছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)