নড়াইলের নড়াগাতি থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের ডুটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর অপহৃত ছাত্র প্রগতি বাওয়ালিকে অপহরণের পর খুলনার তেরখাদা উপজেলার নলিয়ারচর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে প্রগতির পিতা পবিত্র বাওয়ালী অপহরণকারী নলিয়ারচর গ্রামের মামা বাড়িতে থাকা ফরিদা বেগমের ছেলে শিপন মোল্যার (২৫) বিরুদ্ধে নড়াগাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে ও স্থানীয়ভাবে জানা যায়, প্রগতি প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার সকালে নড়াগাতি থানার ডুটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের মাঠে খেলা করতে থাকে। এ সময় শিপন মোল্যার কাছে প্রগতির চাচাত ভাই অভিজিতের একটি উপহার আছে এবং সেটা তার কাছে দিবে বলে প্রগতিকে স্কুল থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে নড়াগাতী থানার পদ্মবিলা বাজারের সেলুন ব্যবসায়ী ও ডুটকুড়া গ্রামের ধনঞ্জয় রায়ের ছেলে পলাশ রায়ের সঙ্গেও শিপনের কথা হয়। অপহরণকারী প্রগতিকে নলিয়ারচর গ্রামের নির্জন মাঠে পাটক্ষেতের ভিতরে নিয়ে গলা চেপে ধরে এবং ছুরি বের করে হত্যার চেষ্টা করে। তখন প্রগতি বাওয়ালী তার হাত থেকে ছুটে বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার দিয়ে দৌঁড়াতে থাকে। এ সময় পাশের ক্ষেতে নলিয়ারচর গ্রামের পানচাষী কর্ণধার ও নিত্যান্ত বিশ্বাস চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে প্রগতিকে উদ্ধার করে। তখন অপহরণকারী পালিয়ে যায়। প্রগতির নিকট বিস্তারিত শুনে তার পরিবারকে খবর দিলে তারা এসে তাকে বাড়ী নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আরো জানান, শিপন মোল্যার বিরুদ্ধে পূর্বেও একটি শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ আছে। তাদের ধারনা প্রগতিকেও সে কারণে অপহরণ করতে পারে। তার কথা না শোনায় তাকে হত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে ওই স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অপহরণকারীর বিচার দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যপী মানববন্ধন করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- সহকারী শিক্ষক বিথিকা বর্মন, প্রগতির পিতা পবিত্র বাওয়ালী, মাতা দিপিকা বাওয়ালী, ঠাকুরমা তৃপ্তি বাওয়ালী প্রমুখ।
বক্তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপহরণকারীকে বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। অপরদিকে দ্রুত বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
অভিযুক্ত অপহরণকারী শিপন মোল্যাকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]