উজ্জ্বল রায়, নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউএইচএফপিও ডা. শশাংক চন্দ্র ঘোষ তাঁর বিরুদ্ধে আনিত কয়েকটি অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে তাঁর নিজস্ব অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলনে ডাঃ শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ লিখিত বক্তব্যে তাঁর নামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেও সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, গত বছরের আগষ্ট মাসের ১৩ তারিখে যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের উন্নয়নে তিনি কাজ করে চলেছেন। বন্ধ হওয়া সকল পরীক্ষা সমূহ চালু করেছেন এবং সরকারী মূল্যে সেবা দিয়ে আসছেন। এদিকে কিছু ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অনুমোদন না থাকায় চাপ সৃষ্টি করায় উপজেলার কিছু হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক মালিকদের স্বার্থ বিঘিœত হওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনে। যাহা গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারী কয়েকটি স্থাণীয় ও জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত নিউজে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি ও ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিগণের কাছ থেকে চাঁদা দাবি, রোগী কল্যাণ সমিতির ঔষধ এর বদলে নগদ অর্থ জোরপূর্বক গ্রহণ সংক্রান্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে জবাবে একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে আইপিএস ক্রয় বাবদ ৩৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং হাসপাতালের নিজস্ব পুকুর থেকে মাছ বিক্রির টাকা ২২ হাজার টাকা নিজের জিম্মায় রাখা ও আল্ট্রাসোনোগ্রাফিতে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগটি তিনি পরিস্কার করতে পারেননি।
এ ছাড়া পূর্বের কর্মস্থলে নানা অনিয়মের বিষয়টি নিউজে প্রকাশ হলেও সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ডাঃ শশাঙ্ক।
সরকারি ছুটির দিনে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন সাজেদা বেগমকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]