নড়াইলে ভ্যান নিয়ে কিশোরকে শ্বাসরোধে হ*ত্যা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
নড়াইলের লোহাগড়া ভ্যান নিয়ে কিশোরকে শ্বাসরোধে হত্যা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় তামিম খান (১৩) নামে এক ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত তামিম খান সদর উপজেলার হবখালি গ্রামের রুবেল খানের ছেলে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে ভ্যানচালক কিশোর তামিম খান নিখোঁজ হয়। পরে স্বজনরা তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিহত কিশোরের চাচাতো ভাই জানায় তামিম অভিযুক্ত আমিনুলকে ভ্যানে নিয়ে যেতে দেখেছে। পরে নিহতের স্বজনরা অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল স্বীকার করে যে তামিমকে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাকে হত্যার পর লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকায় মাটিচাপা দিয়েছে এবং ভ্যান ওই গ্রামে বিক্রি করেছে। পরে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল লোহাগড়া উপজেলার মশাঘুনি এলাকা থেকে লোহাগড়া থানা পুলিশের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে আসামি আমিনুলকে লোহাগড়া থানায় হস্তান্তর করেন।
নড়াইল সদর থানা পুলিশের ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় সে তামিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে লোহাগড়ার মশাঘুনি এলাকায় মাটিচাপা দিয়ে রেখেছে পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনাস্থল থেকে মরদেহর সন্ধান পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আমিনুলকে আটক ও চোরাই ভ্যান কেনাবেচার অভিযোগে দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লোহাগড়া থানা পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)