নড়াইলে ৪ বছরের শিশু সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন মা!
নড়াইলে ৪ বছরের শিশু সন্তান আরিয়ানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন মা খাদিজা বেগম (২২)।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটানার ১৬ দিন পার হলেও কান্না থামেনি ছোট্ট শিশু আরিয়ানের। কিন্তু এই কান্নাও মন গলাতে পারিনি তার জন্মদাত্রী মাতা খাদিজা বেগমের।
অভিযোগ রয়েছে, পরকীয়া প্রেমে লিপ্ত হয়ে প্রতিবেশি ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরের সঙ্গে উধাও হয়েছে ওই মা। শিশু সন্তান ফেলে রেখে মায়ের চলে যাওয়া নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের আহাদুজ্জামান নান্নুর ছেলে সজল শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার চাপুলিয়া গ্রামের নজরুল মোল্লার মেয়ে খাদিজা বেগমের। বিয়ের এক বছর পর তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তার নাম রাখা হয় আরিয়ান। পেশাগত কারণে বাড়ির বাইরে থাকতেন সজল শেখ। স্বামী বাড়িতে না থাকায় পাশের বাড়ির সৈয়দ শাকিল মিরের সঙ্গে প্রেমে লিপ্ত হয় খাদিজা। পরকীয়ার জের ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় খাদিজা। পরকীয়া প্রেমিক সৈয়দ শাকিল মিরে (১৮) তাকে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সিনেমার মত এই প্রেম কাহিনীর কাছে হার মেনেছে মায়ের মমতা। সন্তানের জন্য মায়ের যে ভালোবাসা শুধু সেইটুকু আবদার নিয়ে অবুঝ শিশুটি অঝরে চোখের পানি ফেলছে। তার কান্না যেন থামানোর কেউ নেই।
আরিয়ানের দাদি বিউটি পারভীন বলেন, ৪ বছরের শিশু সন্তান মাকে না পেয়ে অঝরে কাঁদতে থাকে। মায়ের জন্য শিশুটির হাও মাও কান্নায় প্রতিবেশীরা কান্না করে। আমি খোঁজাখুজি করে না পেয়ে পরবর্তীতে স্থানীয়দের পরামর্শে লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
এদিকে, বিউটি পারভীনের করা জিডির তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শুকুর বলেন, খাদিজা বেগমকে উদ্ধারের জন্য একাধিকবার উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা ঢাকা আছে। তাদের উদ্ধার তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।
অভিযুক্ত শাকিলের বাবা জাকির মির বলেন, ছেলেটি তাকে নিয়ে চলে গেছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে বিউটি পারভীন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা খাদিজার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
কলারোয়া নিউজে প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। (Unauthorized use of news, image, information, etc published by kalaroa News is punishable by copyright law. Appropriate legal steps will be taken by the management against any person or body that infringes those laws.)