নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের নলকুড়া গ্রামে অবৈধ ডাম্পার ট্রাক্টরের মাধ্যমে কাদা-মাটি বহন নিয়ে স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। গ্রামবাসীর অভিযোগ, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একনাগাড়ে এসব ট্রাক্টরের চলাচলে তাদের জীবনযাত্রা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, রাস্তায় ধুলো ও কাদামাটি পড়ে চলাচল করতে গিয়ে স্থানীয়রা বিপদের মুখে পড়ছেন।
এলাকাবাসী জানান, কয়েকটি পুকুর ভরাট করার জন্য অবৈধ ডাম্পার ট্রাক্টরে করে গত কয়েকদিন ধরে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দিনরাত মাটি বহন করছে। যে কারণে রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে। একদিকে যেমন রাস্তা ধুলায় ভরে যাচ্ছে, তেমনি অন্যদিকে কাদা-মাটি পড়ে গ্রামবাসীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব বাড়ি রাস্তার পাশে তারা বেশ ভোগান্তিতে পড়ছেন। এছাড়া দ্রæতগামী ট্রাক্টরের কারণে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। বিশেষত ছোট ও সংকীর্ণ রাস্তার ওপর এ ধরনের যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মুশফিকুর রহমান বলেন, ডাম্পার ট্রাক্টরে করে মাটি বহন করার সময় রাস্তায় মাটি ফেলতে-ফেলতে যাওয়ার কারণে এমন বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে যে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তার ওপর পড়ে থাকা ধুলাবালি ও কাদা একত্রিত হয়ে আরও বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে যা দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ট্রাক্টরের চলাচলে পরিবেশ ও শব্দদূষণও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা স্থানীয়দের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এদিকে এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা যায় এবং রাস্তার ধুলাবালি ও কাদা পরিষ্কার করা হয়।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমাদ বলেন, আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে সে অভিযোগের অনুলিপি লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছি।
এ বিষয়ে মাটি বহনকারী ঠিকাদার রাজা বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে লোক এসে মাটি বহনের বিষয়টি দেখার দায়িত্ব আমাদের লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দিয়েছেন। চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের বলেছেন গাড়ি ধীরে চালাতে এবং কারও কোন অসুবিধা না করে মাটি বহন করতে।
বিষয়টি জানার জন্য লাবসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমের কাছে ফোন করা হলে তিনি বলেন, না! না! আমি কাওকে মাটি বহনের জন্য বলিনি। আর মাটি বহনের বিষয়টি আমি আপনার মাধ্যমে জানলাম। আর উপজেলা থেকে অভিযোগের কপি আমি এখনো পায়নি। আগামীকালকেই ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]