সাতক্ষীরা মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের (এমএটিএস) আসবাবপত্র ক্রয়ের নামে ৯৮ লাখ দুই হাজার ৮১০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় অগ্রগতি নেই।
দুদক প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক সহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে পাঁচ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ৩ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। তবে সেই থেকে নীরবেই ঝুলছে মামলাটি।
মামলার আসামীরা হলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. তওহীদুর রহমান, মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেনিভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো.শাহিনুর রহমান, সাতক্ষীরা শহরের বাঁকাল এলাকার মেসার্স শেখ মোকাররম হোসেন এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী শেখ মোকাররম হোসেন, গণপূর্ত ই/এম কাঠের কারখানা বিভাগের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো.মাহফুজ আলম, গণপূর্ত ই/এম উপ-বিভাগ সাতক্ষীরার উপ-সহকারী প্রকৌশলী বদরুল হাসান।
দুদকের দায়েরকৃত মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের সহায়তায় সাজানো দরপত্র দাখিলপূর্বক প্রতারণা, অপরাধমূলক বিশ^াসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে নি¤œমানের ও কমমূল্যের আসবাবপত্র সরবরাহপূর্বক উচ্চমূল্যে ক্রয় দেখিয়ে এবং পরবর্তীতে উক্ত আসবাবপত্র পরিমাপ করে অপরাধের দায় হতে রক্ষা করার জন্য মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলের মাধ্যমে সাতক্ষীরা মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুলে (এমএটিএস) সরকারের ৯৮ লাখ দুই হাজার ৮১০ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনপূর্বক আতœসাত করার অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে দুদক খুলনা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ জানান, মামলাটি আমাদের কার্যালয়ে নথিভুক্ত হয়েছে ঠিকই কিন্তু দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সেকারণে মামলাটির অগ্রগতির বিষয়ে খুলনা কার্যালয় থেকে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সূত্রে. পত্রদূত।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]