একযুগের বেশি সময় পার হলেও নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিচার শুরু হয়নি। বেগম জিয়ার আদালতে অনুপস্থিতি ও বারবার সময় আবেদনের কারণে ৩১বারের মতো পেছালো অভিযোগ গঠনের শুনানি।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) নাইকো দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে অংশ নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আবারও অনুপস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সন। আর তাই ৩১বারের মতো শুনানি পেছাতে আবেদন করেন তার আইনজীবী। অসুস্থ থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি বলে জানানো হয়। আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান ১৫ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি। পরে তার আইনজীবীরা সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় বেগম খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।
১১ বছর পর ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ মোট ১১ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
প্রকাশক : আরিফ মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক : কাজী আবু ইমরান, সম্পাদক : আবু রায়হান মিকাঈল
ফেসবুক পেইজঃ facebook.com/kalaroanewsofficial, ই-মেইল : [email protected]